এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোটের খারাপ ফলাফলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকেও উঠে এলো মুকুল-এর প্রসঙ্গ ,জেনে নিন

ভোটের খারাপ ফলাফলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকেও উঠে এলো মুকুল-এর প্রসঙ্গ ,জেনে নিন


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী 42 এ 42 এর স্লোগান দিলেও বাস্তবে 22 টি আসন নিজেদের দখলে রেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। অন্যদিকে বিজেপি এই রাজ্য থেকে 18 টি আসন নিজেদের দখলে নিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির প্রবল উত্থানের পরই দলের সমস্ত নেতা, বিধায়ক ও মন্ত্রীদের নিয়ে ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে 22 টি আসনের তৃণমূল জিতলেও প্রায় প্রতিটা লোকসভার অন্তর্গত পুরসভাগুলিতে বিজেপির এগিয়ে থাকা চিন্তার ভাঁজ ফেলে। যার কারণ হিসেবে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুর্ব্যবহার এবং দুর্নীতিই ফুটে উঠেছে। ফলে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে রাজ্যের সিংহভাগ পৌরসভায় দলের খারাপ ফল হওয়ায় আজই সমস্ত দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে সকাল 11 টা থেকে একটি বৈঠকে বসেছেন তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্যরা। প্রায় রাজ্যের সমস্ত পুরসভা মিলিয়ে তিন হাজারের মতো কাউন্সিলার এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা আছে। কিন্তু দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে এই বৈঠকে ঠিক কী বার্তা  দিলেন  তৃণমূল নেত্রী!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ কলকাতা নজরুল মঞ্চে দলের কাউন্সিলর ছাড়াও শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই বৈঠকে নাম না করে মুকুল রায়কে আক্রমণ করেন মমতা । বলেন, “বাবা দল করত । বাবা-ছেলেকে টিকিট দিয়েছি । যে বাবা-ছেলে পালিয়ে যাবে, তাদের দলে জায়গা নেই । নোয়াপাড়ার বিধায়ক বিকাশ বসু মারা গেলে সেখানকার নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীকে টিকিট না দিয়ে তার খুনিদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল সেটা ঠিক ছিল না। ”

 

১. “কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা কাজ করে না । কাউন্সিলরদের জন্য অনেক বদনাম হয়েছে । নিজেদের ওয়ার্ড সাজাতে হবে । জনসংযোগ বাড়াতে হবে । কাউন্সিলর হয়ে এলাকার খবর রাখতে হবে ।”
২. “কাউন্সিলর হয়ে পাঁচ বছর জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলে চলবে না । যিনি কাজ করেন, তিনি হারেন না । ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ এখন থেকেই শুরু করতে হবে”
৩.”15-20 জন কাউন্সিলর টাকা নিয়ে চলে গেলে আমার বয়ে গিয়েছে । আমি অন্য প্রার্থীকে টিকিট দেব । যারা যাওয়ার তাঁরা চলে যান ।”
৪. পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও ‘পছন্দ’-র প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হবে না। বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না.”
৫.দলত্যাগীদের দলে ফেরাবেন না । ‘চোরেদের’ দলে রাখবেন না। ”

৬.”EVM নয়, ব্যালট চাই । “নজরুল মঞ্চ থেকে 21-এর স্লোগান বেঁধে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

৭. ১৫-২০ জন কাউন্সিলর চলে গেলে কিছু যায় আসে না। যেসব কাউন্সিলর চুরি করে ধরা পড়লে তারা বাঁচতে অন্য দলে পালাচ্ছে। এরা দল ছাড়লে দলের কিছু এসে যায় না, এবার তিনি বরং অন্যদের টিকিট দেবেন। চোরেদের দলে রাখা হবে না এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যাঁরা দল ছাড়তে চান তাঁরা তাড়াতাড়ি দল ছাড়ুন।

৮. কোনভাবেই প্রোমোটিংয়ে নজর দিলে চলবে না। তাছাড়া সরকারি সম্পত্তি নানা ভাবে এই সব নেতা অথবা তার পরিবারের লোকেদের সম্পত্তি হয়ে যাচ্ছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এদের বিরুদ্ধে ফিরহাদ হাকিমকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেন ।

৯.জনপ্রতিনিধিদের মানুষের কাছে যেতে বলা হয়েছে এবং এজন্য মানুষের কাছ থেকে গালাগাল খেলেও খেতে হবে বলে জানান। ভোটার তালিকা যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে নজর দিতে নির্দেশ দেন।

১০.দল ছাড়তে তিনি এদিন শুধু অসত্‍ কাউন্সিলরদেরই বলেননি আঙুল তুলেছেন বিধায়কদের দিকেও। টাকা এবং পেট্রোল পাম্পের হাতছানি রয়েছে ওরকম নেতা একজন গেলে পাঁচশো জন এসে যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!