এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শান্তি নেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের,সংরক্ষণ নয়, নয়া গেরো, প্রার্থী হতে পারবেন না অনেকেই

শান্তি নেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের,সংরক্ষণ নয়, নয়া গেরো, প্রার্থী হতে পারবেন না অনেকেই

 

বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচনের আগে ওয়ার্ড সংরক্ষনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যার ফলে অনেক সংরক্ষণ হয়ে যাওয়ায়, তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলররা সেই সমস্ত ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। যা নিয়ে অনেক কাউন্সিলরের মধ্যে শঙ্কা কাজ করেছে। তবে যে সমস্ত কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়েনি, তারা কিছুটা হলেও চিন্তার বাইরে ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের গঠনতন্ত্র বর্তমানে অন্যরকম।

দলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর ছাড়পত্র পেলেই যে সেই ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবে, তা কমবেশি প্রত্যেকেই জানেন। তাই ওয়ার্ড সংরক্ষণে অনেক তৃণমূল কাউন্সিলররা না পড়লেও তারা আদৌ প্রার্থী হতে পারবেন কিনা! তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চরমে উঠেছে। বস্তুত, পৌরসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কোন ওয়ার্ডে কাকে প্রার্থী করলে ভালো হয়, তার জন্য সেখানকার জনসাধারণের কাছে জনমত যাচাই করেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম।

আর তখন থেকেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের মনে ভয় ভীতি তৈরি হয়েছিল। যদি জনসাধারনের তরফ থেকে সেই কাউন্সিলরের সম্পর্কে কোনোরূপ অভিযোগ প্রশাসনের কাছে আসে, তাহলে তার যে প্রার্থী হওয়া আর হবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে অনেকেই আশার আলো দেখছিলেন, যখন ওয়ার্ড সংরক্ষণের ফলে অনেক তৃণমূল কাউন্সিলরের ওয়ার্ড হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তখন যে সমস্ত কাউন্সিলররা সুরক্ষিত ছিলেন, তারা ভাবছিলেন, এবার হয়ত প্রশান্ত কিশোরের টিম তাদের ঘাড়ে কোপ মারতে পারবেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা এমনিতেই অনেক তৃণমূল কাউন্সিলরের ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়ে গিয়েছে। কিন্তু না, তৃণমূল কাউন্সিলরদের সেই সমস্ত ভাবনা এখন অতীত। দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে ভালো এবং স্বচ্ছ প্রার্থীর ওপরেই যে ভরসা রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেস, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর তাইতো এখন নিশ্চিন্তে নেই সেই সংরক্ষণের বাইরে পড়া তৃণমূল কাউন্সিলররাও। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মালদা জেলার অনেক তৃণমূল কাউন্সিলর রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু এই যোগাযোগে আদৌ কি কোনো লাভ হবে!

কেননা তৃণমূলে তো প্রার্থী বাছাইয়ে এখন শেষ কথা বলবেন প্রশান্ত কিশোর! এদিন এই প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর শুভময় বসু বলেন, “আমার ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়নি। কিন্তু প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি দলের রাজ্য নেতৃত্ব ও পিকের দপ্তর থেকে চূড়ান্ত হবে বলে কানে এসেছে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ব্যক্তি কখনও দলের ঊর্ধ্বে নয়। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, পাঁচ বছর ধরে যেভাবে আমার ওয়ার্ডের নাগরিকদের পাশে থেকেছি, তাতে দল এই ওয়ার্ড নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে মালদা জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “একথা আমাদের অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সংরক্ষণের তালিকা একটি সরকারি নিয়ম। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা বা না করা একান্তভাবেই দলের সিদ্ধান্ত।” তবে প্রার্থী করার ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “নির্বাচনে লড়াই করাটাই মূখ্য বিষয় নয়, তা দলের নেতৃত্ব একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ভোটের না লড়ে বা না জিতেও বিভিন্নভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে মানুষের সেবা করার সুযোগ থাকে। আমাদের দলের হয়ে পৌরসভায় কারা লড়াই করবেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নেবেন। এই বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় আসেনি।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, প্রশান্ত কিশোরই যে তৃণমূলের টিকিট দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন, এবং তার ফলে যে তৃণমূলের অনেক নেতার টিকিট পড়তে চলেছে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন মালদা জেলার অনেক কাউন্সিলররা। এখন শেষ পর্যন্ত কারা কারা টিকিট পান, আর কারা বাতিলের খাতায় চলে যান! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!