এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গভীর রাতে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা,বাড়ছে উত্তেজনা

গভীর রাতে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা,বাড়ছে উত্তেজনা

ফের দুষ্কৃতি হামলার শিকার হল এক তৃণমূল কাউন্সিলর। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর পুরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ড। গভীর রাতে অতর্কিতে এই হামলার জেরে মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আতঙ্কিত কাউন্সিলারের পরিবারের সদস্যরাও। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন এই হামলার কবলে পড়তে হল তৃণমূল কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাসকে?

ঘটনার কারণ হিসাব অভিযোগের মাধ্যমে কিছু তথ্য উঠে এসেছে আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের তরফ থেকে। হালিশহরের বুকেই মাসকয়েক আগে একটি বাজি কারখানায় ভয়াভয় আগুন লেগে যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর হিসাবে ঘটনার তদারক করতে মৃত্যুঞ্জয় বাবু ঘটনাস্থলে যান। এবং তারপরই জনসাধারনের হিতের কথা চিন্তা করেই অবৈধভাবে তৈরি ওই বাজি কারখানার সঙ্গে পাশাপাশি অবস্থিত আরো কয়েকটি বাজি কারখানা ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। সেসময়ই স্থানীয় দুষ্কৃতিদের নজরে পড়েন তিনি। এবং তারপরই এদিন গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড,লাঠি নিয়ে  দুষ্কৃতিরা হানা দেন তাঁর বাড়ি। বেধড়ক মারধোরের পাশাপাশি অবাধে বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। সমানে চলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও। এমনকি মৃত্যুঞ্জয় বাবুকে বাঁচাতে আসলে তাঁর স্ত্রী (রূপালী দাস) এবং কন্যার উপরও চড়াও হয় দুষ্কৃতিরা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি অভিযোগের মাধ্যমে। এছাড়া আরো জানিয়েছেন ,হালিশহর পুরসভা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ বাজি কারখানার বিরোধীতা করছেন। এলাকায় দুষ্কৃতিদের ক্রমবর্ধমান যাতায়াত নিয়েও নৈহাটি,বীজপুর থানায় একাধিক বার অভিযোগ করেছেন তিনি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

ওদিকে,হামলার খবর পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে আসে কাউন্সিলরের বাড়ি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতিরা যে যার মতো  ছুটে পালায়। এরই মধ্যে উত্তেজিত জনতার হাতে ধরা পড়ে বাবাই নামের এক দুষ্কৃতি। ইতিমধ্যে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বীজপুর থানার পুলিসও। এলাকাবাসী ওই ধৃত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।  জানা গেছে,দলীয় কাউন্সিলারের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিকও তাকে দেখতে যান। দল সবসময় মৃত্যুঞ্জয় বাবুর পাশে রয়েছে বলেই আশ্বাস দেন পার্থবাবু এদিন। এবং পুলিশ তাঁর তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে পাওয়া গেছে আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের মন্তব্যও। তিনি জানান যে যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্যে দুষ্কৃতি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সবর হচ্ছেন তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করা হয়েছে তাঁর উপর। তবে এটা করেও তাকে রোখা যাবে  বলেই শাসানি দলেন তিনি এবং এটাও জানিয়ে দিলেন যে তাঁর এলাকার দুষ্কৃতিদের বাড়বাড়ন্ত তিনি কিছুতেই সহ্য করবেন না। উল্লেখ্য,এই হামলার জেরে ব্যাপক আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে মৃত্যুঞ্জয় বাবুর পরিবারের সদস্যরাও। এ প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় বাবু পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্নচিহ্ন ছুঁড়ে বললেন,’আমি কাউন্সিলর। আমারই যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়!” তবে বীজপুর থানার পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। উল্লেখ্য,এই হামলার ঘটনায় প্রশান্ত দাস ও উত্তম দাসের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!