কাউন্সিলারকে টিকিট দেওয়ার দাবিতে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের, বাড়ছে অস্বস্তি! উত্তরবঙ্গ রাজ্য February 24, 2020 গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পেছনে দায়ী করা হয়, দলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতিকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পৌরসভা ভোটে তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছে, স্বচ্ছ মুখকে কাউন্সিলরের টিকিট দিতে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে সমীক্ষা। যে সমীক্ষা মোতাবেক তৃণমূলের অনেক বর্তমান কাউন্সিলর এবার টিকিট নাও পেতে পারেন বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। যার ফলে অনেক কাউন্সিলরদের মনে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। আর আশা, আশঙ্কায় যখন দিন কাটছে তৃণমূলের অনেক বর্তমান কাউন্সিলরদের, ঠিক তখনই তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকে টিকিট দেওয়ার দাবি তুলে হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের একাংশ। যা নিঃসন্দেহে পৌরসভা ভোটের মুখে দলের অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, সোমবার শিলিগুড়ি পৌরসভার 40 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারীকে টিকিট দেওয়ার দাবিতে মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ির সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। আর তৃণমূল নেতৃত্ব যখন দলে কোনো বিশৃঙ্খলা নেই, তাদের দল শৃঙ্খলা পরায়ন বলে দাবি করছে, ঠিক তখনই টিকিট পাওয়ার দাবিতে কাউন্সিলরের অনুগামীরা এভাবে মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখানোয় অস্বস্তিতে পড়েন সেই মন্ত্রী গৌতম দেব। অনেকে বলছেন, সত্যজিৎবাবু হয়ত এবার টিকিট নাও পেতে পারেন। আর তা অনুভব করেই নিজের অনুগামীদের দিয়ে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করিয়েছেন তিনি। তবে এই বিক্ষোভের পেছনে তার কোনো হাত নেই বলে দাবি করেছেন 40 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারী। কিন্তু এভাবে পৌরসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন দলকে ঠিক কতটা অস্বস্তিতে পড়ল! এদিন সেই প্রসঙ্গে না গেলেও, এভাবে বিক্ষোভ করে যে টিকিট পাওয়া যাবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “এভাবে বিক্ষোভ দেখিয়ে টিকিট পাওয়া যাবে না। দলের নেতৃত্বই তালিকা তৈরি করবেন। এই ধরনের অরাজক পরিস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না।” তবে গৌতমবাবু একথা বললেও পৌরসভা নির্বাচনের যতদিন এগিয়ে আসবে, ততই টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা কাউন্সিলরদের অনুগামীদের বিক্ষোভ বাড়বে বলেই মনে করছে একাংশ। যা পৌরসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দেবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখন তৃণমূল নিজেদের অস্বস্তি ঢাকতে এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -