আদালতের নির্দেশে খুশির হাওয়া সরকারি কর্মচারীদের,কপাল পুড়ল পুরকর্মীদের কলকাতা রাজ্য June 28, 2018 হাইকোর্টের নির্দেশ প্রকাশ্যে আসতেই রক্তচাপ বাড়লো পুরকর্মীদের। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এদিন জানিয়ে দিলেন যে কেবলমাত্র সরকারি কর্মচারীদের উওরাধীকারীরাই অনুকম্পাজনিত (ডায়েড-ইন-হারনেস) প্রকল্পে চাকরি পাবেন। পুরসভার কর্মীরা যেহেতু সরকারি কর্মী নন তাই তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় পড়ছেন না। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে পুরকর্মীদের তরফ থেকে এতোদিন যাবত ২৬ টি মামলা হয়েছিলো। মামলাকারীদের স্বামী, বাবা অথবা মা পুরসভায় কাজ করতেন কিংবা কর্মরত অবস্থাতেই কেউ কেউ মারা গেছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। আবেদনকারীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিলো যে এররকম অবস্থায় মৃত পুরকর্মীর পরিবারকে আর্থিক অনুদান এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করতে অনুকম্পাজনিত চাকরি দেওয়ার নিয়ম আছে এবং এটা জানিয়ে তাঁরা পুরসভায় চাকরি পাবার জন্য আবেদনও করেন। তবে প্রত্যেকের আবেদনই ২০১৩ সালের পরে। পুরসভার নিয়ম মেনে সেসব আবেদন ডিরেক্ট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছেও পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু দিন,মাস,বছর পেরোলেও সেই আবেদন নিয়ে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি উপরমহল কর্তাদের। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন। এদিকে, রাজ্যসরকারের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে যে, ২০১৩ সালের সরকারি নির্দেশিকা এবং২০০২ সালের সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী শুধুমাত্র মৃত সরকারি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাই অনুকম্পাজনিত প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। মামলাকারী এমন তথ্য প্রমান পেশ করতেই পারবেন না যাতে উল্লেখ আছে যে তাঁদের এভাবে সরকারি সাহা্য্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। শুধু কোলকাতা পুরসভাই নয়,রাজ্যের যে কোনো প্রান্তের পুরসভার জন্যই এ নিয়ন লাগু নেই। এদিন রাজ্যসরকারের এই নীতিরই জয় হল হাইকোর্টে। এর ফলে সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটলেও পুরকর্মীদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলো। আপনার মতামত জানান -