এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > স্পেশাল কোর্টে স্পেশাল আবেদন – বড়সড় স্বস্তি মিলতে চলেছে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার?

স্পেশাল কোর্টে স্পেশাল আবেদন – বড়সড় স্বস্তি মিলতে চলেছে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার?


বিগত বাম সরকারের আমলে সিঙ্গুর হোক বা নন্দীগ্রাম-বিভিন্ন জায়গায় লড়াই করা তৃনমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া কেস গুলি এখনও ঝুলে রয়েছে। 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর সেই নেতাদের মধ্যে অনেকেই আজ বিধায়ক এবং মন্ত্রী। তাই এবারে সেই সমস্ত আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন তাঁরা। যেমন, সিঙ্গুরের তৎকালীন জমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক তথা রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী বেচারাম মান্না।

জানা যায়, 2011 সালে রাজ্যে তৃনমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই বামফ্রন্টের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন মামলা প্রত্যাহারের জন্য সেই বছরেরই 20 জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দেন তিনি। এদিকে দীর্ঘদিনের সহকর্মী বেচারাম মান্নার চিঠি পেয়ে তাতে সাড়া দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 2014 র 30 জানুয়ারী ক্যাবিনেট বৈঠকে সিঙ্গুরের 128 টি মামলা প্রত্যাহার করারও সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তার মধ্যে সিংহভাগ মামলা প্রত্যাহার হলেও এখনও বেশ কিছু মামলায় আটকে রয়েছেন সেই সময় বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী অনেকে। কিন্তু এখনও ঠিক কার কার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে?

জানা গেছে, বারাসতের এমপি-এমএএল স্পেশাল কোর্টে ছাত্র তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্নার চারটি এবং তারই মাস্টারমশাই তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। এদিকে এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগও নিয়েছেন বেচারাম মান্না। গত বছরের 20 ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের 27 জুন রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য একটি আবেদনও করেছেন তিনি। আর বেচারাম মান্নার এই আবেদনপত্র পেয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্যও।

সূত্রের খবর, সরকারের তরফে চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই হুগলি এবং উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রশাসনকে এই ব্যাপারে লিখিতভাবে জানানোর পাশাপাশি বারাসত এমপি-এমএল কোর্টের আইনজীবি শান্তময় বসু এবং হুগলী জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবি অশোককুমার দাসকেও একটি কপি পাঠায় সরকার। আর সেইমত এদিন বারাসতের এমপি-এমএএল স্পেশাল কোর্টে সেই বেচারাম মান্না এবং সিঙ্গুরের 52 জন অনিচ্ছুক কৃষক হাজিরা দিয়েছিলেন। আদালতে সরকারপক্ষের আইনজীবি শান্তময় বসু এই চারটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানান। এদিকে হুগলির চন্দননগরে কৃষকদের বিরুদ্ধে হওয়া 14 টি মামলা প্রত্যাহার করার ব্যাপারেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কিন্তু বেচারামবাবুর মামলা প্রত্যাহার হলেও কি হবে সিঙ্গুরের তৃনমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই প্রশ্নের উত্তরে সেই সরকারি আইনজীবি শান্তময় বসু বলেন, “আজ বেচারামবাবুর মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। যেদিন রবীন্দ্রনাথ বাবুর মামলার দিন রয়েছে সেদিন তাও প্রত্যাহার করা হবে।” এদিকে সরকারের তরফে এই মামলা প্রত্যাহার করার উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি বেচারাম মান্নাও। এদিন তিনি বলেন, “সিঙ্গুরের চাষীদের পাশে আমরা ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমাদের সহৃদয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্যোগেই এই মামলাগুলি প্রত্যাহার করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, বাম সরকারের আমলে হওয়া এই মামলাগুলি প্রত্যাহার করে আদতে লোকসভা ভোটের আগে সিঙ্গুরের মানুষদের পাশে থাকারই বার্তা দিচ্ছে রাজ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!