আদালতেও এবার বাতিল নোটের তীব্র বিতর্ক – নোটবন্দির সময়ের টাকা ফেরত নিয়ে শোরগোল জাতীয় রাজ্য August 23, 2018 গত 2015 সালের 7 এপ্রিল হাওড়া আদালতে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারী অলোককুমার চট্টোপাধ্যায় 50 হাজার টাকা জমা করেন। পরে সমস্যা মেটার পরই তিনি যখন সেই টাকা ফেরত চান তখনই তাঁর সেই অর্থ তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা হাতে পাওয়ার পরই তিনি দেখেন যে সেই টাকার বর্তমানে কোনো মূল্যই নেই। সূত্রের খবর, এরপর ফের এই ব্যাপারে আদালতে অভিযোগ করলে এই বছরেরই গত 19 জুলাই হাওড়া জেলা বিচারকের কাছে একটি রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। গত জুলাই মাসের 31 তারিখ তা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা পড়লে তা বিচারপতির কাছে পেশ করা হয়। জানা যায়, এইখানেই হাইকোর্ট প্রশ্ন করে যে, আবেদনকারী ব্যাঙ্কে টাকা জমা করা কেন তা সময়ানুযায়ী ব্যাঙ্কে জমা হয়নি? আর কেনই বা নোটবন্দীর আগের টাকা বাতিল হলেও তা সেই আবেদনকারীকে ফেরত দেওয়া হল? আর এই দুই প্রশ্নের উত্তরেই রিপোর্টে বলা হয় যে, কিছু সমস্যার কারনে এই আবেদনকারীর টাকা এসবিআই ট্রেজারি শাখায় জুডিশিয়াল ক্যাশিয়ার জমা করতে পারেনি। আর অপরদিকে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে জেলা জজ জানান, অর্থমন্ত্রক এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের 2017 র 12 মে নির্দেশিকা অনুযায়ীই এই পুরোনো নোট আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে এই বাতিল নোট আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে শুনানিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বলে, নোটবন্দীর পর যদি কোনো টাকা বাজেয়াপ্ত হয়, যদি কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সেই টাকা উদ্ধার করে এবং যদি 2016 র 30 ডিসেম্বরের আগে যদি তা জমা হয়ে থাকে এই তিনটি নির্দেশিকা মেনেই নোটবন্দীর পরে নতুন টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিচারপতি এক রায়ে বলেন, ব্যাঙ্কে টাকা জমা না পড়লে তাঁর দায় কখনই আবেদনকারীর নয়। গত 2017 সালের 19 জানুয়ারী জজশিপের অ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ অ্যান্ড ফিনান্স কন্ট্রোল দিয়েছে সেখানেই এই প্রতারনামূলক আচরন লক্ষ করেছে আদালত। আপনার মতামত জানান -