আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে রাজ্য সরকার, শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ল রাজ্য September 20, 2018 এবার শারদ উৎসবের মরশুমের আগে বড়সড় ধাক্কার মুখে শিক্ষকেরা। চাকরি পাওয়ার আগেই ডিআইদের কোনোও অনুমতি ছাড়াই স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কেল পাওয়া পুরোপুরি ঝুলেই রইল তাঁদের। সূত্রের খবর, গত 5 জুন এই ব্যাপারে কোলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করেন নদীয়ার এক শিক্ষিকা। এদিন সেই মামলার রায়ে বিচারপতি শেখর বি সরাফ নির্দেশ দেন, চাকরি পাওয়ার আগে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হলে তাঁকে ডিআই বাধা দিতে পারেন না। আর বিচারপতের এই রায়ের পরেই শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা সরকারি কৌসুলির দ্বারস্থ হন। এমনকী এই ব্যাপারে বিচারপতির রায় আদালতের বেশ কিছু রায়ের পরিপন্থী বলে দাবি করলে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর বি শরাফ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, এই নিয়ে যা রায় আছে তা যেন তাঁর সামনে আনা হয়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিকাশভবন থেকে এল আর এর সবুজ সংকেত মিলেছে। তাই এই চলতি মাসেই এই ব্যাপারটি নিয়ে ফের আদালতে ফাইল করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই জট আদৌ কবে খুলবে তা নিয়ে এখন প্রবল আশঙ্কায় দিন গুনছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে শিক্ষাদপ্তরের তরফে এখনও কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও বিভিন্ন জেলার ডিআইরা কিছু শিক্ষক শিক্ষিকাদের উচ্চতর স্কেলে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। যেমন মালদহের ডিআই 2010 সালে চাকরিতে যোগ দেওয়া এক শিক্ষককে এই উচ্চতর স্কেলে বসিয়েছেন। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে জানা গেছে, ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে এমএসসিতে উত্তীর্ন হওয়ায় তাঁকে এই পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট স্কেল দেওয়ার সুপারিশ ডিআই করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে বিকাশভবনের এক কর্তা বলেন, “শিক্ষাদপ্তর থেকে এরুপ কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কিসের ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে তা ডিআইরাই বলতে পারবেন।” এদিকে আদালতের রায়ের পরও এই সমস্যা আটকে থাকায় প্রবল ক্ষুদ্ধ শিক্ষামহল। বিষয়টিতে শিক্ষাদপ্তরের ইচ্ছাকৃত অসহযোগীতার অভিযোগও তুলেছেন অনেকে। আপনার মতামত জানান -