এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > তৃণমূল নেতা খুনে দুই দাপুটে তৃণমূল নেতার নামে হুলিয়া জারি আদালতের! শুরু তীব্র চাঞ্চল্য

তৃণমূল নেতা খুনে দুই দাপুটে তৃণমূল নেতার নামে হুলিয়া জারি আদালতের! শুরু তীব্র চাঞ্চল্য

তৃণমূল নেতা খুনে ফের কাঠগড়ায় দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পাঁশকুড়া থানার মাইশোরায় তৃণমূল নেতা কুরবান শা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শীতল মান্না এবং তার ঘনিষ্ঠ গোলাম মেহাদি ওরফে কালুর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করল আদালত। যা নিয়ে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। জানা গেছে, গত 3 ডিসেম্বর তমলুকে সিজেএম আদালতের পক্ষ থেকে এই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের খুঁজে পেতে মনসাপুকুর বাজার, রাজনগর বাজার, মাইশোরা বাজার, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন এলাকা, পঞ্চম দুর্গা বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়েছে পুলিশ। বস্তুত, যে দুজনের নামে হুলিয়া জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে শীতল মান্না আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তার স্ত্রী শাসকদলের পঞ্চায়েতের সদস্যা রয়েছেন।

শীতলবাবু পাঁশকুড়া থানায় রাজশহরে বসবাস করেন। অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত গোলাম মেহাদি ওরফে কালু শ্যামবল্লভপুরে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালত হুলিয়া জারি করলেও বর্তমানে দুজনেই গা-ঢাকা দেওয়ায় হদিশ পাওয়ার জন্য এলাকায় এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 28 নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পাঁশকুড়া থানার ওসি এবং ময়না থানার ওসিকে তলব করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই তৃণমূল নেতা কুরবান শা খুনের ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের অবিলম্বে ধরার ব্যাপারে নির্দেশ দেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় বিজেপির আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলেও, বেশ কয়েক জন পলাতক রয়েছেন। তাই বাকিদের যাতে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হয়, তার জন্য দুই থানার ওসিকে ডেকে পাঠান জেলা পুলিশ সুপার ভি সোলেমান নেশাকুমার। আর এবার শীতল মান্না এবং তার শাগরেদ গোলাম মেহেদি ওরফে কালুর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করল আদালত।

এদিকে দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা খুনে হুলিয়া জারি হওয়ায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। যদিও বা নিজেদের অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। এদিন এই প্রসঙ্গে মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর বেরা বলেন, “শীতলবাবু বাইরে তৃণমূল করলেও ভেতরে বিজেপি করতেন। আনিসুরের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতেন। খুনের ঘটনায় তাদের কাজে লাগানো হয়েছে।”

তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এখন শাক দিয়ে যতই মাছ ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন, যে দুইজনের বিরুদ্ধে আদালত হুলিয়া জারি করেছে, তারা যে এখনও তৃণমূলের, সেই ব্যাপারে দাবি করছে একাংশ। তাই গোটা ঘটনায় কিছুটা হলেও তৃণমূলের যে অস্বস্তি বজায় রয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে এই খুনের পিছনে আসলে বিজেপির হাত আছে বলে যেরকম প্রচার তৃণমূলের তরফে শুরু হয়েছিল – আদালতের নির্দেশের পরে সেখানে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!