এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সবাই প্রতীক্ষা করছে যে সুখবরের! করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে কোন দেশ ঠিক কোথায় আছে – জেনে নিন

সবাই প্রতীক্ষা করছে যে সুখবরের! করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে কোন দেশ ঠিক কোথায় আছে – জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দাবানলের মতো করোনা ভাইরাস অতি দ্রুততার সঙ্গে তার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। তাই আজ করোনার ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। বিজ্ঞানী, ডাক্তার, বিশেষজ্ঞরাও এব্যাপারে হাত গুটিয়ে বসে নেই। তাঁরাও দিন-রাত এক করে দিচ্ছেন, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে। করণের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের বিষয়ে বর্তমানে সারাবিশ্বে অন্তত ১৫০ টি প্রজেক্টে কাজ চলছে। করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কোন দেশ কতটা এগিয়েছে, তা আমরা দেখে নিতে পারি একনজরে।

প্রথমেই আসি ভারতের কথায়, ভারতে এখন ২টো করোনার ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের কাজ চলছে। প্রথমটি হলো ‘কোভ্যাক্সিন’। আইসিএমআর ও পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভায়রোলজির সঙ্গে জোটবধ্য হয়ে এই ভ্যাকসিনের ওপরে কাজ করছে ভারত বায়োটেক। এর প্রথম পর্বের ট্রায়ালও শুরু হয়েছে, ৩০ বছরের এক তারুণ এর শরীরে এর পরীক্ষাও করা হয়েছে। ইতিপূর্বে স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার কথা বলা হয়েছিল। ভারতে করোনা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটি তৈরির কাজে ব্যস্ত দেশের সবচেয়ে বড়ো ওষুধ কোম্পানি জাইডাস ক্যাডিলা। ভ্যাকসিনটি প্রথম দফার পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া র ছাড়পত্রও পেয়েছে।

এবার আসি বৃটেনের কথায় । ব্রিটেন এব্যাপারে সবথেকে এগিয়ে আছে। ব্রিটেনেও কাজ চলছে দুটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের উপরে। এর মধ্যে একটি হলো ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি চ্যাডক্স ১ ভ্যাকসিন। এটির এখন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিনটির অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে। ১০৭৭ জনের শরীরে এটি প্রয়োগ করে দেখা গেছে, করোনার আক্রমণ রোধ করতে এটি শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি ও সেল তৈরি করতে পারছে। সেপ্টেম্বর মাসে এটি ব্রিটেনের বাজারে আসার সম্ভাবনা আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভারত তথা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা নির্মাণ সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এর সঙ্গে অংশীদার হয়ে কাজ করছে। সেরাম ইনস্টিটিউট-এর ডিরেক্টর আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন যে, আগস্ট মাসে ভারতেও এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা আরম্ভ হবে, সব ঠিক থাকলে নভেম্বর মাসে এই ভ্যাকসিনটি ভারতের বাজারেও এসে যাবে। ব্রিটেনে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ একটি ভ্যাকসিন তোর কাজ করছে । এটির এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।

করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে। এই দেশের সংস্থা মডার্না করোনার ভ্যাকসিনের দুটি পর্যায়ের পরীক্ষায় সফল হয়ে তৃতীয় পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ২৭ সে জুলাই হবে এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্টের ৮৭ টি জায়গায় করা হবে।

আগামী আগস্টের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়াতে সেচনেভ বিশ্ববিদ্যালয় ও গামালেই ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এপিডিমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি একযোগে করোনার ভ্যাকসিনের উপরে কাজ করছে। রাশিয়ার গামালেই সেন্টারের প্রধান অ্যালেক্স্যান্ডার গিন্টসবার্গ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর আশা আগামী ১২- ১৪ ই আগস্টের এর মধ্যে এই টিকা বাজারে চলে আসবে।

চিনে করোনা ভ্যাকসিনের উপরে ৪ টি ক্যান্ডিডেটের কাজ চলছে।উহান ইন্সটিটিউট ও সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ট্রায়ালে আছে, সিনোভাক ও ভুটানটান ইন্সটিটিউটের ভ্যাকসিন আছে তৃতীয় ট্রায়ালে। অন্যদিকে, ক্যানসিনো বায়োলজিক্যাল ইন্সটিটিউট ও বেজিং ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকের ভ্যাকসিন আছে বর্তমানে সবার আগে। চীনের সেনাবাহিনীকে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চীনের আরো একটি সংস্থা করণের ভ্যাকসিনের উত্তরে কাজ করছে, যা এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। অন্যদিকে জার্মানির করোনা ভ্যাকসিন এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে ও অস্ট্রেলিয়া, কানাডার ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। এভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ করোনা নিরাময়ের চেষ্টায় ভ্যাকসিন তৈরির কাজে নেমেছে। এখন কোন দেশের ভ্যাকসিন কতটা তাড়াতাড়ি মানুষের কাছে এসে পৌঁছাবে সেটাই দেখার বিষয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!