এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ করে দিলো জনসন অ্যান্ড জনসন, ফের শুরু অপেক্ষা !

কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ করে দিলো জনসন অ্যান্ড জনসন, ফের শুরু অপেক্ষা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত সময় যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণ ততই বিস্তার লাভ করছে বিভিন্ন দেশে। এই মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে, এবং সেই অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কিছুদিন আগেই ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর শুনিয়েছিল অন্যতম বিশ্ব বিখ্যাত কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন। ভ্যাকসিন তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল এই কোম্পানী। কিন্তু মাঝপথেই ঘটল বিপত্তি। সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছিল।

আর তারপরেই জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানি দিল চরম দুঃসংবাদ। সোমবার ওষুধ নির্মাতা সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের ভ্যাকসিন পরীক্ষাকালে একজন অজ্ঞাত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, আর তাই সমস্ত রকম করোনার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের যে ফেজ থ্রি এনসেম্বল ট্রায়াল চলছিল তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে। তবে কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিন নিয়ে অসুস্থতার ঘটনা ঘটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়।

বিশেষত বহু সংখ্যক মানুষের ওপর যখন এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা হয়, তখন যে কেউ অসুস্থ হতেই পারে। সেপ্টেম্বরের শেষে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের ফেজ থ্রী ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। আমেরিকাসহ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, পেরু এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় জনসন অ্যান্ড জনসনের ফেজ থ্রি ট্রায়াল চালানোর কথা ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার পর আশার কথা শুনিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই সময় বলা হয় এডি26.কোভ2.এস নামক একটি ভ্যাকসিনের দুটি আলাদা ডোজ দেওয়া হয়েছে এবং তাতে ভালোই ফল মিলছে বলে জানা গিয়েছিল। অন্যদিকে ভ্যাকসিনের এই দুটি আলাদা ডোজের মধ্যে কি ফারাক তা দেখার জন্য ছিল মোডের্না ও ফাইজার নামক দুটি কোম্পানি। জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন অল্পবয়স্কদের শরীরে বেশি কার্যকর হবে, না বয়স্কদের শরীরে তা নিয়ে একটা কৌতুহল ছিলই। জুলাই মাসে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের প্রথম আবিষ্কার হয়। প্রাথমিকভাবে বাঁদরদের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।

সেসময় পরীক্ষার ফল ভালোই হয়েছিল বলে দাবি সংস্থার। অন্যদিকে জানা গেছে 98% ভলেন্টিয়ার এর শরীরে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের ফলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার 29 দিন পরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে আপেক্ষাকৃ কম বয়সীদের শরীরে। অন্যদিকে 65 বছরের প্রবীণ যারা, তাঁদের মাত্র 15 জনের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন কম বয়সী এবং বেশি বয়সীদের মধ্যে একটা ফারাক এনেই দিচ্ছে।

কিন্তু হঠাৎ করে একজন ভলেন্টিয়ার অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন পরীক্ষা এখন পুরোপুরি বন্ধ বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে একমাত্র ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল যেভাবে বন্ধ করে দিল জনসন অ্যান্ড জনসন, তা কিন্তু চিন্তা বাড়িয়ে দিল বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ কিছুটা আশার আলো দেখেছিল জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণায় যা এই মুহুর্তে আবারও দীর্ঘ অপেক্ষায় পরিণত হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!