এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কোভিড আবহে সারা দেশে ৫৪ টি আসনে উপনির্বাচন, অ্যাসিড টেস্টের মুখে একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

কোভিড আবহে সারা দেশে ৫৪ টি আসনে উপনির্বাচন, অ্যাসিড টেস্টের মুখে একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার কারণে সময়ে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। তবে ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আসার পরই এবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার 10 টি রাজ্যের 54 টি বিধানসভা কেন্দ্র উপনির্বাচন হবে। যার মধ্যে মধ্যপ্রদেশে 28 টি, গুজরাতে 8 টি এবং উত্তর প্রদেশের 7 টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। একদিকে করোনা পরিস্থিতির সময় কোন রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে সবথেকে বেশি থেকেছে, আর অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ কারা সবথেকে বেশি সুরক্ষিত রেখেছে, তা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনতার রায়ের ফলে প্রতিফলিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে সোমবার সন্ধ্যায় এই উপনির্বাচনের প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পরই বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই দলের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, এবার মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার রাজনৈতিক পরীক্ষা দেখবেন জনসাধারণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই তার সঙ্গে কংগ্রেসের 25 জন বিধায়ক দল ত্যাগ করেন। মুহূর্তের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন হয়।

আর এবার যে 28 টি আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তার মধ্যে 25 টি বিধানসভা আসনে এই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামীরা পদত্যাগ করেছেন। ফলে তিনি এই সমস্ত আসনে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে কতটা তৎপর হন এবং কতটা সফলতা পান, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। একাংশ বলছেন, এই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে এবার এই সমস্ত আসনের বিজেপি প্রার্থীদের জয়লাভ করে প্রমাণ করে দিতে হবে যে, তিনি নির্ণায়ক শক্তি। আর যদি তিনি এই কাজে সফলতা না পান, তাহলে বিজেপির অন্দরে যেমন তিনি কোণঠাসা হয়ে যাবেন, ঠিক তেমনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, গুজরাটের কংগ্রেসের বিধায়করা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়াতে এই নির্বাচন বিজেপির কাছে এক প্রকার অগ্নিপরীক্ষার সমান। গুজরাটে আটটি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তবে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি এবং নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও, কংগ্রেস দাবি করছে, সবকটা আসনেই কারা জয়লাভ করবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই দলবদলকারীদের বিজেপি প্রার্থী করলে তারা কতটা নিজেদের আসন ধরে রাখতে পারেন, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয় হয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহলের কাছে। যদি এই সমস্ত প্রার্থীরা জয়লাভ করতে না পারেন, তাহলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ।

এদিকে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে নিয়ে সেখানে ব্যাপক প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের তরফ থেকে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া হাথরাসের ঘটনাকে ইস্যু করতে চলেছে বিরোধীরা। এছাড়াও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ঝড় তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

তাই এই পরিস্থিতিতে লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ভালো ফল করলেও, এবার এই বিধানসভা উপনির্বাচনে তারা কতটা নিজেদের জয় ধরে রাখতে পারে, তা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনে যে রাজনৈতিক দল সবথেকে ভালো ফলাফল করবে, তারা অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে। তবে প্রচার-পাল্টা প্রচারে শেষ পর্যন্ত ভোটবাক্স খোলার পর কারা শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!