এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আতঙ্ক বাড়িয়ে এবার করোনায় আক্রান্ত স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে সফর স্ত্রীর!

আতঙ্ক বাড়িয়ে এবার করোনায় আক্রান্ত স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে সফর স্ত্রীর!


গত কয়েকদিন ধরেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরতে সহায়তা করার জন্য। ট্রেন চললেও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি ছিল, এর ফলে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞদের কথা আরো বেশি মান্যতা পায় প্রধানমন্ত্রীর বার্তায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একবাক্যে স্বীকার করে নেন, ট্রেন চলার ফলে সংক্রমণের সংখ্যা হয়তো আরও বাড়বে। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য এছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।

কারণ, পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে দূর-দূরান্ত থেকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চরমে উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে একজন ফটোগ্রাফার এবং তাঁর স্ত্রীও ছিলেন। ট্রেনেই মৃত্যু হয় ওই ফটোগ্রাফারের। তাঁর স্ত্রী ওই মৃতদেহ আগলেই পৌঁছান লখনৌ পর্যন্ত। এবং সেখানেই আবিষ্কার হয় যিনি মারা গেছেন, তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। আতঙ্ক চরমে ওঠে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ।

পরিস্থিতি যাচাই করতে গেলে দেখা যায়, ট্রেনের কামরায় সহযাত্রী, পুলিশ, ডাক্তারসহ প্রায় 200 জন ব্যক্তি ইতিমধ্যে ওই করোনা মৃতদেহের সংস্পর্শে এসেছেন। উল্লেখ্য, সোমবার রাতে ট্রেনে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন মৃত ব্যক্তি। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে সাড়ে আটটা বেজে গেলেও তিনি ঘুম থেকে ওঠেন না। এদিকে ট্রেন ততক্ষণে লখনৌ। ডাক্তাররা তাঁকে পরীক্ষা করেন ও মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের আগেই মৃত ব্যক্তির লালারস পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং দেখা যায় ওই ব্যক্তি করোনা পজিটিভ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আপাতত ওই কামরায় থাকা অন্যান্য যাত্রী, ডাক্তার এবং আরও যাঁরা মৃতদেহের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদেরকে ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে কেজিএম এর এক মুখপাত্র ডঃ সুধীর সিং জানিয়েছেন, ‘স্যানিটাইজেশনের জন্য KGMU-এর ময়নাতদন্তের ঘর বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারি ডাক্তার-সহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’ অন্যদিকে জিআরপি পুলিশ ইন্সপেক্টর সোমবীর সিং জানান, ”মৃতের নাম বিনোদ কুমার উপাধ্যায়। বয়স ৪৪। অযোধ্যার গোসাইগঞ্জের বাসিন্দা। মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে তিনি পর্যটকদের ছবি তোলার কাজ করতেন। ট্রেনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও এক আত্মীয়।”

ট্রেন চলার সাথে সাথে দেশজুড়ে যেভাবে করোনা আক্রান্তের ছবি আরো সুস্পষ্ট হচ্ছে, তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই দুঃশ্চিন্তা গ্রাস করেছে কেন্দ্রীয় সরকার্কে। উপরন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া করোনা সংক্রান্ত রিপোর্টও খুব একটা ভালো নয় বলেই জানা গেছে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রেনে ওঠার আগেই যাত্রীদের যদি করোনা পরীক্ষা করে নেওয়া হয়, তাহলে হয়তো এক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হবে। কিন্তু তা যদি না হয়, তাহলে উপর্যুপরি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যে বৃদ্ধি হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!