এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কোভিড মোকাবিলায় ডিরেক্ট PM টু DM! মাঝে পুরোপুরি ব্রাত্য CM? মোদীর পদক্ষেপে ফুঁসছেন মমতা

কোভিড মোকাবিলায় ডিরেক্ট PM টু DM! মাঝে পুরোপুরি ব্রাত্য CM? মোদীর পদক্ষেপে ফুঁসছেন মমতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর রাজ্য হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করায় কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে খবরদারি করছে বলে অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসকদল। এদিকে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও, প্রথমদিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার জন্য সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল করোনা ভাইরাস আটকানো।

সেই মত করে অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো থেকে শুরু করে করোনা টিকা, বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে করোনা পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, ঠিক তখনই এবার সরাসরি জেলাশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন রাজ্যের জেলাশাসকের কাছে সেখানকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেও সেখানে আলোচনা পর্বে রাখা হচ্ছে না বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। এমনিতেই বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয় না বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই যেভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে পরিস্থিতি জানতে সরাসরি জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রের দ্বৈরথ আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, আজ বৃহস্পতিবার সকালে 9 টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের 54 টি জেলার জেলাশাসককে নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে রয়েছেন বাংলার 9 টি জেলার জেলাশাসক। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে কেন জেলাশাসকদের সঙ্গে এই বৈঠক করা হচ্ছে, তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠক করবেন, তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা, দুই 24 পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া এবং বীরভূম। অর্থাৎ যে সমস্ত জেলাতে করোনা ভাইরাস দিনকে দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে, সেই সমস্ত জেলাগুলোকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী আজকের এই বৈঠক ডেকেছেন। কিন্তু কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে এই বৈঠক ডাকা হচ্ছে? কেন সরাসরি জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, এই গোটা ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। রাজ্যে একজন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। তাকে না জানিয়ে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কেন কথা বলবেন? এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনাতে না ডাকলেও, তার রাজ্যের অন্তর্গত বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার দরকার ছিল। কিন্তু তা না করে যেভাবে সরাসরি জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলতে উদ্যত হলেন প্রধানমন্ত্রী, তাতে গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সারা দেশের পরিস্থিতি যেমন দেখভাল করছেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকার, ঠিক তেমনই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি দেখভাল করছে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী। তবে পশ্চিমবঙ্গের 9 টি জেলার জেলাশাসককে বেছে নিয়ে যেভাবে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তাতে গোটা বিষয়টিকে নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরগরম হয়ে উঠতে পারে।

এমনিতেই বারবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরোধিতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রনংদেহী মনোভাবকে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!