এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কোভিড-যোদ্ধাদের জন্য আসা করোনা টিকা তৃণমূল নেতাদের নেওয়া অব্যাহত! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিতর্ক

কোভিড-যোদ্ধাদের জন্য আসা করোনা টিকা তৃণমূল নেতাদের নেওয়া অব্যাহত! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ এক বছর করোনানাকে সাথে নিয়ে চলার পর অবশেষে করোনা থেকে মুক্তির উপায় মিলেছে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে এসেছে করোনার প্রতিষেধক। রাজ্যে রাজ্যে দেওয়া শুরু হয়ে গেছে এই প্রতিষেধক এবং প্রতিষেধক দেওয়ার ক্ষেত্রে তালিকায় সবার আগে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ,স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মীরা। কিন্তু বিতর্ক ছড়িয়েছে এখান থেকেই। শোনা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা করোনার টিকা নিচ্ছেন আগেভাগে। প্রথম দিন যেমন বিতর্ক ছড়িয়েছিল করণদীঘির তৃণমূল বিধায়ক তথা নেতা মনোদেব সিনহাকে নিয়ে। এবার করোনার দ্বিতীয় দিনেও একইভাবে তৃণমূল জনপ্রতিনিধি তীব্র বিতর্কে জড়ালেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে।

জানা যাচ্ছে, সোমবার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিয়ে নেন হেমতাবাদ ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখর রায়। যেখানে করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার কথা বারবার বলা হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল জনপ্রতিনিধির টিকা নেওয়া অবশ্যই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি বিরোধী শিবির থেকেও এই নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে সব নেতা। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো চর্চা চলছে এই নিয়ে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা শেখর রায় দাবি করেছেন, তিনি হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। আর তাই তার নাম টিকা প্রাপকদের তালিকায় আছে।

প্রসঙ্গত, করোনা টিকা দেওয়ার প্রথম দিন তৃণমূল নেতা মনোদেব সিনহাও একইভাবে টিকা নিয়েছিলেন। তিনিও তখন দাবি করেছিলেন একই কথা। তৃণমূল নেতা শেখর রায়ের টিকাকরণ প্রসঙ্গে এদিন স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবব্রত সাহা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা নিজের কথা ভাবছেন। পাশাপাশি বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীও সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, শেখরবাবু রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেও টিকা নিতে পারেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। কারণ তিনি সামনের সারিতে থেকে কোভিডের সাথে লড়াই করেননি। সেক্ষেত্রে সামনের সারির যোদ্ধাদের টিকা থেকে বঞ্চিত করে তৃণমূলের নেতারা আগেভাগে টিকা নিচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ব্লক কংগ্রেস নেতা মিহির দাসগুপ্ত জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দপ্তর করোনার লড়াই এর সামনের সারির তালিকায় কিভাবে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এর নাম অন্তর্ভুক্ত করলো তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা শেখর রায় দাবি করেছেন, তাঁর নাম টিকা প্রাপকদের তালিকায় ছিল। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা শেখর রায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, এটি স্বাস্থ্য দপ্তরের বিষয়। তবে নিয়মমাফিক সব হয়েছে বলেই তিনি দাবি করেছেন।

উত্তর দিনাজপুরের সিএমএইচ কার্তিক মণ্ডলও একই কথা বলেছেন। সবমিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে করোনা টিকা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা বা করোনার সামনের সারির যোদ্ধারা যে টিকা পাওয়ার যোগ্য সেই টিকা কিভাবে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পান? যথারীতি সামনের দিনে এই বিতর্ক যে রাজ্যের শাসক দলকে চাপে ফেলার কাজে বিরোধীরা ব্যবহার করবে, সে ব্যাপারে একমত সবাই।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!