এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সিপিএমের দুষ্কৃতীরা বিজেপিতে এসে মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছে: সুব্রত বক্সী

সিপিএমের দুষ্কৃতীরা বিজেপিতে এসে মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছে: সুব্রত বক্সী


সিপিএমের দুষ্কৃতীরা বিজেপিতে এসে মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছে: সুব্রত বক্সী। এদিন জামবনী ব্লকের বেলিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ সদস্য সুব্রত বক্সি মন্তব্য করেন, “সিপিএমের দুষ্কৃতীরা বিজেপিতে এসে মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনের পর তাঁদের একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না, এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন।” এদিন এই সভায় সুব্রতবাবু বলেন, “বাংলার মাটিতে ৩৪ বছর মানুষ সিপিএমের অপশাসন দেখেছে। মানুষকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর যাঁদের কোথাও জায়গা হচ্ছে না, সেই দুষ্কৃতীদের বড় অংশ বিজেপিতে গিয়েছে। ৩৪দিন যাদের বাংলায় জন্ম হয়েছে, তারা পেশিশক্তি দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এটা সম্ভব হবে না।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এরপর তিনি দলের পক্ষে প্রচারের জন্য বলেন, “তৃণমূলের প্রার্থীদের সমর্থন করা মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানানো। এমনকী, একটি পরিবার খুঁজে পাবেন না যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পরিষেবা পৌঁছায়নি। যতই অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা আসুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন বেঁচে থাকবেন, বাংলার মাটিতে কোনও প্রকল্প বন্ধ হতে দেবেন না। অর্থের জোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করবেন। কোনও রাজনৈতিক দল পাবেন না, যে সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারে। কোথাও রাজ্য, জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বের খামতি থাকতে পারে। এবার ভোটে সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ আবেদন জানিয়েছেন প্রার্থীপদ পাওয়ার জন্য। রাজনৈতিক খিদে অপরাধ নয়। আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ না হলেও চোখের জল মুছে দলের পতাকা নিয়ে, দলের সিদ্ধান্তকে যিনি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন, তিনিই সত্যিকারের কর্মী। এই নির্বাচন কঠিন না হলেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।” এই তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়ে বলেন, “সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। প্রত্যেক মানুষের বাড়িতে যাবেন। মানুষের কাছে সমর্থন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নকে সফল করবেন।” তাঁর কথায়, “আগে জঙ্গলমহলে প্রতিদিন একটি ও দু’টি করে খুন হত। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর একটিও মাওবাদী হানার ঘটনা ঘটেনি। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” এদিনের সভায় সুব্রতবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য উমা সরেন, মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত, সাধন পাণ্ডে এবং জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি প্রমুখ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!