দলের দুর্দিনেও দলের নেতা কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন সূর্যকান্ত উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 9, 2018 দলের ক্ষয়িষ্ণু দশা স্পষ্টতই নজরে আসে। কিন্তু হলে কী হবে এখনও পুরনো মেজাজে বাম নেতৃত্ব। দলের প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান দলত্যাগ করার সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করার পরেই এই দুঃসময়েও সিপিএম’র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এতটুকুও বিচলিত নয় । বরং তিনি স্পষ্টতই বললেন, “যাঁরা তৃণমূলে বা বিজেপিতে পা বাড়িয়ে রয়েছেন, তাঁরা দল ছেড়ে দিন। মইনুল হাসানের মতো নেতারা দল ছাড়লে সিপিএম শুদ্ধ হবে। ফের নতুন করে ফিরে আসার লড়াই করতে পারবে।” এদিন কোচবিহার জেলা সিপিএম কার্যালয়ে, প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসানের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ সমালোচনা করলেন রাজ্য সম্পাদক। কোচবিহারে এক দলীয় কর্মসূচীর আয়োজন হয়েছিলো সেখানে অংশ গ্রহণ করতেই উপস্থিত হয়েছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বিধায়ক তথা বিধানসভার বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং দলের জেলার নেতৃত্ব এবং জেলার সাধারণ দলীয় কর্মী ও সমর্থকেরা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিন তাঁরা দলের জেলা কার্যালয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্মদিনে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। আর তারপরেই সেখানে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সম্পাদক কোনো রাখঢাক না করেই বললেন, “মইনুল হাসান দলের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। তখন তিনি দলের উন্নতির কথা বলেননি। এখন দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে দলের সমালোচনা করছেন। এইসব নেতাদের দলে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি নিজেই বেরিয়ে গিয়েছেন, তাতে দলেরই ভালো হয়েছে।” দলের প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসানের বিরুদ্ধে দল আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিজ্ঞ এই বাম নেতা বললেন, “মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির কাছে আমরা মইনুল হাসানকে নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। তিনি যেসব কথা বলেছেন, তা নিয়ে রাজ্য কমিটিতে আলোচনা হবে।” একই সাথে দলত্যাগের বিষয়ে যাঁরা মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেইসব দলীয় কর্মীদের তাঁদের উদ্দেশ্যে সূর্য বাবু বেশ স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ” মইনুল হাসানের মতো যাঁরা ভাবছেন অন্যদলে গেলে পদ ও সুবিধা পাওয়া যাবে, তাঁদের জন্য দুয়ার খোলা রয়েছে, তাঁরা চলে যেতে পারেন। ৪২ বছর পর মইনুল হাসানের মনে হয়েছে, দলের নীতি আদর্শের সঙ্গে তিনি খাপ খাওয়াতে পারছেন না, আপনাদের যাঁদের এখন একথা মনে হচ্ছে, তাঁরা রাস্তা দেখতে পারেন।” রাজ্য সম্পাদকের কথায় একথা বেশ স্পষ্ট রাজ্য শাসনের দায়িত্ব থেকে দল বাদ পড়লেও এক সময় যে রাজ্যের সিপিএম’র বিকল্প কোনো দল রাজ্য শাসনের দায়িত্বে ছিলোনা একথা ভুলে গেলে চলবেনা। আপনার মতামত জানান -