এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি মিলে কোন 5 জন নেতা তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে চলেছে?

বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি মিলে কোন 5 জন নেতা তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে চলেছে?

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর এই লোকসভায় জাতীয় রাজনীতিতে সকল বিরোধী দলগুলো মিলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরাতে যখন বদ্ধপরিকর ঠিক তখনই বাংলায় সেই লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করতে ইতিমধ্যেই পথে নেমে পড়েছেন বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির নেতারা। যা প্রবল অস্বস্তিতে ফেলছে তৃণমূলকে। কিন্তু ঠিক বিরোধীদলের কোন কোন নেতার দাপাদাপিতে ঘুম উড়তে চলেছে রাজ্যের শাসনদলের?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর বামেদের শক্তি ক্ষয় হলেও বর্তমানে রাজ্য বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। এমনকি তাঁর হাত ধরেই বিধানসভায় সরকারকে প্রবল চাপে পড়ছে বামেরা। তাই সেই সুজন বাবু এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে অনেকটাই বেগ দিতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

অন্যদিকে কংগ্রেসের দুই নেতার দাপটেও প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র। প্রসঙ্গত প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকার সময় থেকেই এই অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোর বিরোধী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে বামেদের সঙ্গে হাতে হাতও মিলিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি দেশে বিজেপিকে সরাতে অংরেজ এবং তৃণমূল এক হলেও রাজ্যে সেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা সম্ভব নয় বলেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে বসানোর পরই কিছুটা হলেও শক্তি বৃদ্ধি হতে থাকে রাজ্য কংগ্রেসের।

শাসকদলে চলে যাওয়া বিভিন্ন নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা ফের সেই সোমেন মিত্রর হাত ধরে কংগ্রেসে ফিরতে শুরু করে। এমনকি সেই সোমেন বাবুও রাজ্যে প্রবল সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার জন্য দলকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এহেন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সেই সোমেন মিত্র এবং অধীর চৌধুরী যে অনেকটাই বিপদে ফেলতে পারে তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তা বলাই যায়।

তবে শুধু বাম এবং কংগ্রেসের নেতারাই নয়, এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সব থেকে বড় অস্বস্তির কারণ হতে চলেছে বিজেপিও। বর্তমানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যে তৃণমূল বিরোধী আন্দোলনে দলকে নামাতে সক্ষম হয়েছেন। এমনকি বাম, কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে এখন বিজেপি রাজ্যের দ্বিতীয় বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে।

সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির ফলাফল অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূলের। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পরই তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা। কেননা বিজেপিতে আসার পরই মুকুল রায় বলে দাবি করেছিলেন যে, কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতারাই তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করবেন। যদিও তেমন হেভিওয়েট কাউকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আনতে পারেন নি তবু যিনি এই দাবি করেছেন তাঁর নাম মুকুল রায় ফলে কিছুটা হলেও কপালে ঘাম উঠতে দেখা যায় তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনে ম্যানেজারদের।

সবমিলিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসকদলের তীব্র মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির 5 সৈনিক। এখন এই নেতাদের ম্যানেজ দিয়ে আদৌ আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যের সবকটি আসনে ঘাসফুল ফোটাতে সক্ষম হন কিনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!