এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট সম্ভাবনা কি আরও উজ্জ্বল হল? বাড়ছে জল্পনা

লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট সম্ভাবনা কি আরও উজ্জ্বল হল? বাড়ছে জল্পনা

বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না থাকলেও বিজেপি বিরোধীতার স্বার্থে বামেদের জোট বাধার প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। এদিন বিধাননগরে সিবিআই দপ্তরের অদূরেই একটি বিজেপি বিরোধী বিক্ষোভ সভার আয়োজন করে কংগ্রেসের উওর ২৪ পরগনা জেলা শাখা।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অন্তর্কলহকে টেনে বিজপি সরকারের যেমন সমালোচনা করেন,তেমনি রাজ্যসরকারকেও কটাক্ষ করতে ছাড়ে না প্রদেশ কংগ্রেস। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান, বিধায়ক অসিত মিত্র, মিল্টন রশিদ, অমিতাভ চক্রবর্তী, তাপস মজুমদার প্রমুখরা।

দিন দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চলতি ডামাডোমের জের টেনে মোদী সরকারকে আক্রমণ করতে সিবিআই দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। বলা হয়,রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে সিবিআইকে ব্যবহার করছেন মোদী। এর জেরে সরকারি সংস্থাটি নিজস্ব গুরুত্ব হারিয়েছে।

শুধু তাই নয়,একইভাবে রাজ্যসরকারও সিআইডিকে ব্যবহার করছে। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে এবং বিরোধীদের হেনস্থা করতে রাজ্যপুলিশকে বেআইনিভাবে কাজ লাগাচ্ছে শাসকদল। প্রদেশ কংগ্রেসও এদিন একই ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেন্দ্র এবং রাজ্যসরকারকে তুলোধনা করে। রাফাল কেলোঙ্কারির প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের ব্যস্ততাতেই সিবিআই ডিরেক্টরকে হেনস্তা করে বিজেপি সরকার। এআইসিসি’র এই বক্তব্যের সূত্র টেনে প্রাক্তন ছাত্রনেতা শুভঙ্কর সরকার বলেন,”১৯৪৮ সালে যে সংস্থা গঠিত হয়েছিল, তার মর্যাদা নষ্ট করছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার দল।”

পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাজ্যসরকারের দিকে। রাফাল কান্ডে মোদী সরকারের দোষ ধরা পড়লেও তৃণমূল কেন এখনো এই ইস্যুতে সরব নয়? অন্যদিক অরুণাভ ঘোষ দাবীতে জানালেন,সিবিআই-এর অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে সবথেকে বেশি লাভবান হচ্ছে সারদা-নারদা কান্ডের অভিযুক্তরা। এই কেলেঙ্কারিতে রাজ্যসরকার কেন্দ্রের মদত নিয়েছে সেটা সাফ বোঝা যাচ্ছে।

সিপিএম এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ড মিশ্র কিন্তু বিজেপি রুখতে মঞ্চ থেকে সরাসরি কংগ্রেসের সমর্থন চেয়েছেন। এদিন সেই ঐক্য প্রস্তাবকেই সমর্থন জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর বক্তব্য,”দেশের একমাত্র দল কংগ্রেস, যারা কখনই বিজেপি’র সঙ্গে আপস করেনি।” বলেন,বামেরাও কিন্তু একসময় কংগ্রেস বিরোধীতা করতে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে গাট বেঁধেছিল৷ আবার ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে তৃণমূলও বিজেপির অন্যতম শরিক দল হিসাবে উঠে এসেছিল। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন সেসময়ের বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত বিধানসভা ভোটেও একবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে কথা রাখেনি বামেরা। বামেদের সেই হটকারী সিদ্ধান্তের কথা আরো একবার মনে করিয়ে দেন সোমেন বাবু জোটের সমর্থনে সাড়া দিয়ে। তবে এটাও জানান,বামেদের সঙ্গে জোট গড়তে তাঁদের আপত্তি নেই,এর জন্য বামেদের আগে জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এবার এ ব্যাপারে রাহুল কী সিদ্ধান্ত নেন,সেটাই দেখার! যদিও জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি বরাবরই তৃণমূলের হাত ধরার পক্ষপাতী। এমতাবস্থায় আগামী লোকসভা ভোটের জন্য বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে তিনি ইতিবাচক ইঙ্গিত দেবেন কিনা তা নিয়ে স্বাভাবিক কৌতূহল থেকেই যাচ্ছে। গোটা বিষয়টা নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!