সিপিআইএমের নাটক এখন তৃণমূলে, সৌজন্যে পিকে, ক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরেই কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সত্যি ভোট বড় বালাই। কারণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বর্তমানে শাসকদল রাস্তায় নেমে, মাঠে গিয়ে যেভাবে মানুষের পাশে আছেন সেটা দেখা চাইছেন, সেখানে তাঁদের কথায় ভোট বড় বালাই বলেই মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, বিরোধীদের কথায়, ভোটের প্রচারে যে যেখানেই যাক না কেন, এবারে শাসকদলের টক্কর বেশ কঠিন হতে চলেছে। বস্তুত, কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ভাবনা সিপিএমের থেকেই নেওয়া হয়েছিল, সেখানে তৃণমূলের এই কাজও সিপিএমের থেকেই অনুপ্রাণিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বস্তুত, মাঠে থাকা কৃষকের কাছ থেকে বিড়ি চেয়ে নেওয়া, বা গ্রামীণ বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে কলাই রুটি চেয়ে খাওয়া, এই সবই বস্তুত ‘আমি তোমাদেরই লোক’ একথা বোঝানোর জন্য। আর একসময় ডোমকলের সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের এটাই করতেন। যা দেখে তৃণমূল নেতারা কটাক্ষ করে বলতেন, “এ সবই ভোটের নাটক!” আর সম্প্রতি ভোট কুশলী পিকে’র নির্বাচনী কৌশলে এখন সেই নাটকই রাজ্যের শাসক দলের ভরসা হয়েছে বলে জানা গেছে। বস্তুত, সম্প্রতি নীল পাঞ্জাবী সাদা পাজামা পরে মাথায় গামছা বেঁধে, হাতে নিড়ানি নিয়ে কৃষকের জমিতে বসে কাজ করতে দেখা গেছে তৃণমূল কর্মীকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রবিবার এমনি ঘটনা ঘটিয়েছেন রানিনগরের তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সৌমিক হোসেন। সেখানে তাঁকে কখনও জড়িয়ে ধরতে দেখা গেছে কৃষককে, কখনও আবার চাষের কাজে যাওয়া ট্রাক্টর থেকে চালককে নামিয়ে নিজেই উঠে বসেছেন। তবে শুধু সৌমিক বাবুই নন, আবার হরিহর পাড়ার প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়নুল আবেদিনকেও চাষিদের সঙ্গে ধান মাড়াইয়ের কাজে নেমে পড়তে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, কিছুদিন আগে তিনিই শ্রমিকদের সঙ্গে রাস্তা সংস্কার করেছেন। সেক্ষেত্রে সৌমিকবাবু জানিয়েছেন, বঙ্গধ্বনী যাত্রার অঙ্গ হিসেবে তাঁরা এই কাজগুলো করছেন। তবে, তাঁদের মূল কাজ কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরোধীতা করা, বা তাদের কথা মন দিয়ে শোনা এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। যদিও সিপিএমের ডোমকলের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান অন্য কথাই বলেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর কথায়, তিনি মনে রাখতে বলেছেন যে একসময় এ নিয়ে তৃণমূলকে হাসাহাসি করতে কম দেখা যায়নি। তাই তাঁরাও যে বরাবর মানুষের পাশে থাকতে চেয়েছেন, ও সব নাটক ছিল না, সেটাই স্পষ্ট। তবে তাঁর কথায়, “কিন্তু এত দিন পরে দামী চার চাকা থেকে নেমে তৃণমূল নেতাদের যা করতে হচ্ছে তা শীত মরসুমে একেবারে চিৎপুরের যাত্রা পালা!’’ যদিও আনিসুর রহমান বলছেন, ‘‘আমরা লোক দেখানোর জন্য কিছু করিনি, যা করেছি এলাকার মানুষ হিসেবে, মানুষের পাশে থাকতে।’’ তবে যদিও বিরোধীরা দাবি, আসলে ভোটের আগে পিকে’র নির্দেশেই এখন এভাবে তৃণমূল শেষ মুহূর্তে জনসংযোগ বাড়াতে চেয়েই এমন কাজ করছেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -