অস্তাচলে প্রবীণরা! ঘুরে দাঁড়াতে নেতৃত্বে একঝাঁক তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনল সিপিএম কলকাতা রাজ্য October 18, 2019 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরই যত নির্বাচন এসেছে, প্রায় সমস্ত নির্বাচনেই পর্যদুস্ত হতে হয়েছে বামেদের। দেওয়ালে পিঠ ঠেকতে ঠেকতে 2019 এর সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বামেরা এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে, একসময় তারা রাজ্যে রাজ করলেও রাজ্যের 42 টি আসনের মধ্যে একটি আসনও এবার তারা দখল করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, যাদবপুর বাদে গোটা রাজ্যের বাকি একচল্লিশটি আসনে বামেদের জামানত পর্যটন বাজেয়াপ্ত হয়েছে! আর বামেদের রাজ্যে এই খারাপ ফলাফলের পেছনে এবং সংগঠন দুর্বল হওয়ার পেছনে প্রবীণ নেতাদের আধিপত্য বিরাজই মূল কারণ বলে দাবি করেছিল রাজনৈতিক মহল। এমনকি বারেবারে পার্টির অভ্যন্তরীণ বৈঠকে সেকথা উঠলেও তা কানে তোলেননি রাজনীতিতে চুল পাকানো আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা। তবে সংগঠনে যে বৃদ্ধতন্ত্র বেশি পরিমাণে হচ্ছে, তা বুঝতে পেরে কিছুদিন আগে থেকেই ইয়ং ব্রিগেডের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এমনকি দলের শতবর্ষ উদযাপনে এসে বৃহস্পতিবার সেই ব্যাপারে সওয়াল করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর এবার অবশেষে বঙ্গ সিপিএমের কমিটিতে কিছুটা বৃদ্ধতন্ত্রকে সরিয়ে নবীন রক্তের সঞ্চার করা হল। সূত্রের খবর, সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য তালিকায় স্থান পেলেন তিন এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য্য, ময়ূখ বিশ্বাস, প্রতিকূর রহমান এবং মীনাক্ষী ভট্টাচার্যরা। এছাড়াও এই কমিটির যুক্ত হলেন পরেশ পাল, সৈয়দ হোসেন, অলকেশ দাস, সর্বাণীপ্রসাদ সাঁতরা। পাশাপাশি রাজ্য সিপিএমের সম্পাদকমন্ডলীতেও কিছুটা বদল আনা হল। জানা গেছে, সম্পাদকমন্ডলীতে যুক্ত হয়েছেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী, উত্তর 24 পরগনার পলাশ দাশ, কলকাতার কল্লোল মজুমদার। এছাড়াও সম্পাদকমণ্ডলীর দুই আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে থাকা অনাদি শাহু এবং সুমিত দেকে পূর্ণ সদস্য করা হয়েছে। এদিকে আশ্চর্যজনকভাবে কিছুটা রাজ্য কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন গৌতম দেব, মানব মুখোপাধ্যায়, দীপক দাসগুপ্ত, নৃপেন চৌধুরীর মতো প্রবীণ নেতারা। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, দলে বৃদ্ধতন্ত্র প্রবলভাবে কায়েম হয়ে যাওয়া এবং তরুণদের সুযোগ না দেওয়ার ফলেই যে তাদের জায়গা বিজেপি দখল করেছে এবং দিনকে দিন তারা কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পেরেই এবার সংগঠনকে মজবুত করতে রাজ্য কমিটিতে একাধিক নতুন মুখ নিয়ে এসে লড়াইয়ের বার্তা দিতে চাইল বাম শিবির। তবে একগুচ্ছ নতুন মুখ আসলেও এবং বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান ঘটাতে চাইলেও – রাজ্য-রাজনীতিতে বামেরা কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে সেদিকেই তাকিয়ে থাকতে চাইছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -