বামফ্রন্টের ‘ভুল’ থেকে শিক্ষা নিয়ে কি দেব, মিমি, নুসরাত সোহমদের গুরুত্ব দিয়ে বড় পদ দিল তৃণমূল? কলকাতা রাজ্য July 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পেছনে বামফ্রন্টের যেমন নানা অপদার্থ তার প্রধান কারণ ছিল, ঠিক তেমনই তাদের সংগঠনের বৃদ্ধতন্ত্র শেষ না হওয়ার কারণে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও চুলে পক্ক নেতারা চেয়ার ছাড়েননি। যার ফলে যত দিন গিয়েছে, ততই সংগঠন মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেও সেই একই প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করেছিল। তবে এইভাবে চলতে থাকলে এবং জায়গা কাউকে ছেড়ে না দিলে যে সংগঠনের দুরাবস্থা তৈরি হয়, তা ভালই বুঝতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের ব্যাপক রদবদল ঘটিয়ে তরুণদের বেশি প্রাধান্য দিলেন দলনেত্রী। নবীন এবং প্রবীণের সামঞ্জস্য রেখে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের শক্তিশালী টিম গঠন করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে বেশকিছু রদবদল হয়। যেখানে যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেখে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি করা হয়। অন্যদিকে সৌম বক্সীকেও দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তরুণ মুখ হিসেবে পরিচিত উত্তর 24 পরগনা জেলার যুব তৃনমূলের সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হয় দেবরাজ চক্রবর্তীকে। এছাড়াও উত্তর কলকাতায় অনিন্দ্যকিশোর রাউত এবং দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্ব দেওয়া হয় বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে শুধু রাজ্যের ক্ষেত্রে নয়, বিভিন্ন জেলায় যে সমস্ত সভাপতি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ তরুণ মুখ হিসেবে পরিচিত। যেমন, কোচবিহারে পার্থপ্রতিম রায়, নদীয়ায় মহুয়া মৈত্র, হাওড়ায় লক্ষ্মীরতন শুক্লা, দক্ষিণ দিনাজপুরে গৌতম দাস এবং বাঁকুড়ায় শ্যামল সাঁতরার মত তরুণ নেতা নেত্রীরা দায়িত্ব পেয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন। কেননা তার বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে, ছাত্র যুবদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা। একাধিক বক্তব্যে তিনি বলেছেন যে, “তিনি যদি না থাকেন, তাহলে তিনি আগামী 50 বছরের জন্য দলের সংগঠনের যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাদেরকে তৈরি করে দিয়ে যাবেন।” তবে এতদিন শুধুমাত্র এই কথা শোনা গেছে। তবে বাস্তবে তা প্রয়োগ করে দেখাতে পারেননি তিনি। কিন্তু এবার সাংগঠনিক রদবদলের মধ্যে দিয়ে একাধিক জেলায় তরুণ মুখ আনার পাশাপাশি রাজ্যস্তরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তরুণদের দায়িত্ব নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন। অর্থাৎ যে ভুল বামেরা করেছে, তা যাতে তার দলে না হয়, তরুণদের বেশি পরিমাণে দায়িত্ব দিয়ে নবীন-প্রবীণ সামঞ্জস্য রেখে বিধানসভা নির্বাচনের টিম গঠন করে সেকথাই বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে নবীন-প্রবীণের সামঞ্জস্যের ভিত্তিতে তৃণমূলের এই নতুন কমিটি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কতটা সাফল্যের সঙ্গে দাগ কাটতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -