রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপির ঘুম ওড়াতে সিপিএমের ভরসা হতে চলেছেন কানাহাইয়া কুমার জাতীয় রাজ্য November 27, 2018July 17, 2021 ১৯’এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল বিজেপি রুখতে কানাহাইয়া কুমারের৷ ভাবমূর্তিকে কাজে লাগতে মরিয়া বামফ্রন্ট। ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন নিয়েও ভোটের ময়দানে শিরদাঁড়া সোজা রাখতে চায় বামেরা। ৩৪ বছর ধরে যাদের একছত্র অাধিপত্য ছিল বাংলায়, তাঁদের অস্তিত্বই আজ নিভু নিভু। তবু হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা। যুদ্ধটা বীর যোদ্ধাদের মতোই করতে চায় তাঁরা। সেই লক্ষ্যেই লোকসভা ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি নিজেদের মতো করেই শুরু করে দিয়েছে বামেরা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর সিপিআইয়ের ৯৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় বৃহৎ জনসমাবেশের আয়োজন করেছে বামেরা। সেখানেই প্রধান বক্তার ভূমিকায় থাকবেন জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার। দুদিন ব্যাপী সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদের সভায় বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের বিরোধীতার উপরও সমান জোর দেওয়া হয়েছে। বিজেপি-তৃণমূল কেন রাজ্য তথা দেশের জন্যে ক্ষতিকারক সেটাই বোঝানোর কাজ চলছে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের ১৯’এর বিগ্রেড সমাবেশের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছে সিপিআইয়ের রাজ্য নেতৃত্ব। অর্থনৈতিক খরার সম্মুখে দাঁড়ানো দলীয় নেতৃত্ব এবার ট্যাবলয়েড আকারে সাপ্তাহিক হিসাবে প্রকাশ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআই। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর অন্যান্য বামদলের মতো সিপিআইও ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন নিয়ে টিকে রয়েছে বাংলায়। একসময় দিল্লিী জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুত্ব বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখ হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এআইএসএফের নেতা কানহাইয়া কুমার। তবে এখনো জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি তাঁর। বরং যুবকদের মধ্যে বিশেষত বামপন্থীদের মধ্যে তাঁর কদর ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই সেই জনপ্রিয় ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতেই কানহাইয়া কুমারকে রাজ্যে আনার কৌশল বামফ্রন্টের। এদিন দলের রাজ্য পরিষদের বৈঠক শেষে রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘মোদি হঠাও,সংবিধান ও দেশ বাঁচাও’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই ধর্মতলায় মহা জনসমাবেশ করা হবে। এর পাশাপাশি আগামী বছরের ৮ এবং ৯ জানুয়ারি ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের প্রচারেও ওই জনসমাবেশ কাজে লাগাতে ইচ্ছুক বামেরা। সভায় সিপিআই সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি, গুরুদাস দাশগুপ্তের সঙ্গে কানহাইয়া কুমারও হাজির থাকবেন বলেও জানান স্বপনবাবু। এদিকে,সিপিএমের সিঙ্গুর থেকে কোলকাতা পদযাত্রায় দলের ছাত্র ও যুব শাখাও শামিল হবে বলেন জানিয়ে দিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র। সিঙ্গুরে শিল্প গড়তে বাধা দিয়ে একমাত্র লাভবান হয়েছে তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর তথা গোটা রাজ্যে বাড়তে থাকা বেকারত্বের প্রেক্ষিতে কাজের দাবীতে আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ওই লং মার্চে দলের যুব কর্মীরাও যোগ দেবেন। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অর্থাৎ বামফ্রন্ট যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী আন্দোলনকে মজবুত করার লক্ষ্যে নেমে গিয়েছে সেটারই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে তাঁরা। এখন কানহাইয়া কুমার জনমোহিনী ভাবমূর্তি বামেরা কতোটা কাজে লাগাতে পারে,তার জন্যে জানা যাবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। আপাতত প্রতিপক্ষদের মতোই জনসংযোগ বাড়ানোর কর্মসূচি করে চলেছে বামফ্রন্ট। এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রের খবরে। আপনার মতামত জানান -