এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জনসংযোগের নতুন দুই “অস্ত্র” নিয়ে ময়দানে নেমে ঘুরে দাঁড়াতে কর্মীদের সচেতন করল বামফ্রন্ট

জনসংযোগের নতুন দুই “অস্ত্র” নিয়ে ময়দানে নেমে ঘুরে দাঁড়াতে কর্মীদের সচেতন করল বামফ্রন্ট

2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসলে সেইভাবে বামেরা আর তাদের দাপট দেখাতে পারেনি। যত দিন গেছে, ততই একটা নির্বাচনে পর্যদস্ত হতে হয়েছে তাদের। কিন্তু যেভাবে রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে বিজেপি, আর তাতে বামেরা কার্যত একদম পেছনের সারিতে চলে গেছে, তাই নিজেদেরকে ঘুরিয়ে দাড় করানোর জন্য এবং দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করা এবং সাধারন মানুষের সাথে তাদের জনসংযোগ আরও বেশি করে স্থাপন করতে অভিনব পন্থা নিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সারাদেশের সঙ্গে এরাজ্যে গত 1 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভোটার তালিকা যাচাই প্রক্রিয়া আগামী 15 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে গত 9 তারিখ থেকে শুরু হয়েছে রেশন কার্ড করার বিশেষ অভিযান। আর এই দুই গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাধারণ মানুষকে যাতে সহযোগিতা করা যায় তার জন্য দলীয় কর্মীদেরকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিল সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এই বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় নেতারা একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অনেকদিন ধরেই সেইভাবে জনসংযোগে দেখা যায়নি বামফ্রন্টকে। আর তাই এবার এই দুই গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভোটার তালিকা এবং রেশন কার্ডে সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে সাহায্যের জন্য যাতে হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য জনসংযোগের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে চায় বামেরা।

জানা গেছে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারে প্রকৃত ভোটারের নাম যাতে সেই তালিকা থেকে কোনভাবেই বাদ না যায়, তার জন্য নিজের দলের কর্মীদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সিপিএম। শুধু তাই নয়, সরকারি অভিযানের নিয়ম মেনে রেশন কার্ড করানোর ব্যাপারে গরিব মানুষকে যাতে সাহায্য করা যায়, তার জন্যও দলের কর্মীদের সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে।

অর্থাৎ বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, যে সর্বহারাদের দল বলে সিপিএম নেতারা নিজেদের দাবি করত, 2011 সালের আগে যখন তাদের শেষ সময় চলে এসেছিল, তখন তারা তাদের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে ক্ষমতার দিকে মশগুল হয়ে পড়েছিল। আর তার জন্যই ক্ষমতা পাট হারাতে হয়েছিল বামফ্রন্টকে। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির বাড়বাড়ন্তে এবার সরকারি কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করতে উদ্যোগী তারা।

যার ফলে বামেরা চাইছে যে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস তারা আবার যাতে ফিরে পায়। অন্যদিকে এদিনের সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এনআরসি ইস্যু নিয়েও চলতি মাসে প্রতিটি জেলায় সদর দপ্তরে দলের পক্ষ থেকে মিছিল মিটিং করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে 2 অস্ত্র নিয়ে জনসংযোগে নেমে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বামফ্রন্ট।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!