এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিপিআইএম এবার এদের উপর ভরসা করতে চলেছে, জেনে নিন

ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিপিআইএম এবার এদের উপর ভরসা করতে চলেছে, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর যত সময় গেছে, তত খারাপ অবস্থা দেখতে হয়েছে সিপিএমকে। একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়া থেকে শুরু করে কোন কোনো জায়গায় অফিস খোলার মত লোক ছিল না তাদের। এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই রাজনৈতিক দলের যে এমন শোচনীয় অবস্থা হবে, তা সত্যিই কল্পনা করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু হবে নাই বা কেন! বৃদ্ধতন্ত্রে নাম লেখালেও, সেই সমস্ত ব্যক্তিরা নিজেদের হাতে দলের রাশ রেখেছিলেন‌। ফলে নবপ্রজন্ম চেষ্টা করলেও, সিপিএমের মূল নেতৃত্বে প্রথম সারিতে না আসায় সেই বৃদ্ধতন্ত্র পদ্ধতিতেই চলতে হচ্ছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে।

ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। নতুন প্রজন্ম দলে ঠিকমত জায়গা না পাওয়ায় কার্যত আরও কোণঠাসা হয়ে গেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিপিএমের তরুণ নেতৃত্বের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মত। বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে সহযোগিতা করা থেকে শুরু করে খাবার পৌঁছে দেওয়া, তৃণমূল-বিজেপির পাশাপাশি সিপিএমের যুব নেতৃত্ব টেক্কা দিয়ে কাজ করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার সেই যুবদের হাতেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রাশ তুলে দিতে চাইছে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শুক্রবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। পাশাপাশি যুবরা যেভাবে বর্তমানে মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তাতে সেই যুব নেতৃত্বের ওপর বেশি ভরসা রাখার কথা শোনা যায় সূর্যকান্তবাবুর গলায়। কিভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে এবং কিভাবে ভালো ফল করা যাবে, তার জন্য যুবদের সামনের সারিতে আনার কথা শোনা গেছে সূর্যবাবুর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। আর এরপরই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি সিপিএম বুঝতে পেরেছে যে, দীর্ঘদিন ধরে দলের রাশ যে সমস্ত প্রবীণ ব্যাক্তিত্বদের হাতে ছিল, তাদের দিয়ে আর সংগঠনকে চাঙ্গা করা যাবে না! আর তাই যুবদেরকে সামনের সারিতে আনতে শুরু করেছে তারা?

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্য বলেন, “করোনার আগে থেকেই দলের যুবদের একটা তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন ছাত্র যুবরা। কিন্তু আন্দোলন দানা বাঁধার আগেই করোনা পরিস্থিতি চলে এল। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের যেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেখানে মানুষ এদের কাছ থেকেই সরাসরি সুবিধা পেয়েছেন। কোথাও কমিউনিটি চিকেন, কোথায় আটকে পড়া মানুষদের খাবারের বন্দোবস্ত করে দেওয়া, আবার কোথাও পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো। ভয়াবহ দুর্যোগের পর রাজ্যের শাসকদলের যখন রাজনীতি চলছে, তখন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্র-যুবরা। এইরকম একটা ফোর্স দলের দরকার ছিল এবং সেটা পাওয়াতেই এইরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।”

অর্থাৎ এক কথায় স্পষ্ট যে, সিপিএম এখন কিছুটা হলেও যুবদের উপর নির্ভর করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে চাইছে। তবে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে সিপিএমের যুব সংগঠন কতটা ভালো জায়গা করে নিতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!