এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং ক্রমশ বাড়ছে! বাঁচার নতুন উপায় কি? কিভাবে সাবধান হবেন?

করোনা আবহে ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং ক্রমশ বাড়ছে! বাঁচার নতুন উপায় কি? কিভাবে সাবধান হবেন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অনলাইন বিল মেটাতে আমরা অনেকেই আজকাল ভরসা করি ক্রেডিট কার্ডের ওপর। আর সেটা ব্যবহার করতে কাজে আসে বিভিন্ন অ্যাপ। তবে সেই অ্যাপ কি সত্যি কার্যকরী? সেই নিয়ে উঠছে অনেক প্রশ্ন। বস্তুত বর্তমানে অনলাইন পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে জালিয়াতির ঘটনার খবর প্রায়ই সামনে আসে। সেই সঙ্গে এনিয়ে অভিযোগ দায়ের হতেও দেখা যায়। পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেল এ বিষয়ের কার্যকলাপে নজরদারি রাখলেও জালিয়াতির ঘটনা যে একেবারে ঘটে না সে কথা বলা যায় না।

তবে সত্যি কথা বলতে ব্যাংক থেকে অনেক উপায় অবলম্বন করা হলেও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নানারকম জালিয়াতির কথা সামনে আসে। তবে সেক্ষেত্রে সুরক্ষার সম্ভাব্য উপায় কি তা জেনে নেওয়া দরকার। বস্তুত, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের জন্য ক্রেড বা ফোন পে এর মত অ্যাপ ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে, ক্রেড অ্যাপটি গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডের সমস্ত তথ্য সেভ করে রাখে। তাই এই অ্যাপে ইউপিআই, নেট ব্যাঙ্কিং বা অটো ফিচারের মাধ্যমে পেমেন্ট ক্রেড কমিউনিটিতে থাকার জন্য একজন গ্রাহকের প্রায় ৭৫০-র বেশি ক্রেডিট স্কোর হয়।

এরপর গ্রাহক যখন পেমেন্ট করেন, তখন রিওয়ার্ড হিসেবে ক্রেড কয়েন দেওয়া হয়। এই কয়েন থেকে আপনি অনেক ধরনের শপিংয়ে ডিসকাউন্ট পেতে পারেন বা আরও নানা অফার থাকে। এক্ষেত্রে ১০০০ ক্রেড কয়েন থাকলে একটা ন্যূনতম পরিমাণ টাকা ক্যাশব্যাক হিসেবেও আপনার ক্রেডিট কার্ডে যুক্ত হয়। তবে সেইসঙ্গে এই অ্যাপে গ্রাহক চাইলে ক্রেডিট কার্ড সেভ করেও রাখতে পারেন। তারপর পেমেন্ট করতে পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, ফোন পে-তে গ্রাহককে কার্ড সেভ করতে হয় না। এক্ষেত্রে গ্রাহককে প্রোভাইডার নেটওয়ার্ক নির্বাচন করতে হয়। তারপর ব্যাঙ্ক বেছে নিয়ে কার্ডের সমস্ত তথ্য দিয়ে ইউপিআই-র মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়। এই অ্যাপও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করেই গ্রাহককে নানা রিওয়ার্ডস ও ক্যাশব্যাক দেয়। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ অ্যাপে যেহেতু ক্রেডিট কার্ডের সব তথ্য দেওয়া থাকে, যেমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি লিঙ্ক করা থাকে, তাই তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। অনেক সময়ে দেখা যায়, কিছু অ্যাপ মেল বা মেসেজে অ্যাকসেস চায়।

সেক্ষেত্রে কিন্তু গ্রাহকের খরচ, ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্টসহ একাধিক বিষয়ের উপর নজর রাখা হয়। আর এই ইমেল বা মেসেজের সূত্র ধরে হ্যাকার খুব সহজে তথ্য চুরি করতে পারে। অ্যাকাউন্টসংক্রান্ত নানা বিষয়, এমনকি মেলের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড রিসেট বা ফোন নম্বর চেঞ্জের আবেদন জানিয়ে অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য নিয়ে নেওয়া যায় বলেও জানা গেছে।অন্যদিকে, ক্রেড যেমন গ্রাহকের খরচের ধরন খতিয়ে দেখা ছাড়াও ক্রেডিট কার্ডে কোনও সমস্যা হলে অ্যালার্ট এসএমএস পাঠায়।

ক্রেডিট কার্ডে কখনও কোনও অপ্রত্যাশিত বিল এলে সেই খবরও জানায়। ফলত এই অ্যাপটি যে গ্রাহকের লিঙ্ক করা ব্যাাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ই-মেল আইডি থেকেই এই তথ্যগুলি পায়, তাতে নিশ্চিত হওয়া যায়। আর রেজিস্টার করার সময়ে সংশ্লিষ্ট অ্যাপকে সমস্ত তথ্য গ্রাহকই দেন। নেট ব্যাঙ্কিং, এনইএফটি, অটো পে কিংবা সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে অটো পে-র বিকল্প বেছে নিতে তাই এই সমস্ত নতুন অ্যাপ যদি আপনার কাছে বিশ্বাসোগ্য না হয়, তা হলে পুরনা পদ্ধতিতেই ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!