এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ১০০ দিনের কাজে আটকে রাখা হয়েছে কোটি কোটি টাকা, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তৃণমূলের কর্মী সংগঠন

১০০ দিনের কাজে আটকে রাখা হয়েছে কোটি কোটি টাকা, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তৃণমূলের কর্মী সংগঠন

লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রায়শই বিভিন্ন ইস্যুতেই তরজা শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বনাম কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির মধ্যে। বাংলার প্রতি কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে এই অভিযোগে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখনই নিজেদের পালে হাওয়া লাগাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মাঠে নামল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা ভারতীয় ডাক বিভাগ ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করা মানুষকে কোনোরূপ টাকা দিচ্ছে না বলে বৃহস্পতিবার বীরভূমের সিউড়ির কালেক্টরেট মাঠ থেকে একটি বিশাল মিছিল করে জেলার হেড পোস্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃনমূলের শ্রমিক সংগঠন‌।

তাঁদের অভিযোগ, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা বহু শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকাই ঢোকেনি। আর যার জেরে তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। বেছে বেছে শাসকদলের সদস্যদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের। দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৪৫ লক্ষ টাকা মাঠপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫ লক্ষ টাকা, বনশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৪৫ লক্ষ টাকা সাধারণ মানুষকে দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন পোস্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে বীরভূম আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, “পোস্ট অফিসের কাছে ১০০ দিনের প্রকল্পে কারা টাকা পেয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। গরিব মানুষের কোটি কোটি টাকা আটকে রাখছে। আমরা সাতদিন সময় দিয়েছি। তার মধ্যে গ্রামের মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকলে জেলাজুড়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।”

কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূমের পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এমনটা হওয়ার কথা নয়। দুই-একটি অ্যাকাউন্টে ভুলবশত হতে পারে। আমাদের কাছে এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে এইরকম যদি কোথাও হয়ে থাকে তাহলে তাদের অনুরোধ করছি যে, পঞ্চায়েত ধরে ধরে আপনারা নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করুন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস নিজেদের শ্রমিক সংগঠনকে পথে নামিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চাপে ফেলতেই এহেন কর্মসূচি নিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!