আজব চিত্র! মমতা অভিযোগ করেন টাকা নেই! অথচ কোটি কোটি টাকা পচছে পঞ্চায়েতে! হচ্ছে না কাজ! বর্ধমান রাজ্য June 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন খাত থেকে ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে বাংলার পঞ্চায়েতগুলিতে যে পরিমান অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছে তার অর্ধেকও এখনও উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হয়নি, এমনই অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে করলো রাজ্য বিজেপি। প্রাপ্ত জেলা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কেতুগ্রাম ২ ব্লকের নবগ্রাম এবং কেতুগ্রাম ১ ব্লকের পালিটা ছাড়াও মোট ছটি পঞ্চায়েতে এখনো ২৫% টাকা উন্নয়নের খাতে খরচ না হওয়ার কারণে পড়ে রয়েছে। জানা গেছে প্রায় ৭১ টি পঞ্চায়েত এখনোও ৫০% টাকা খরচ করে উঠতে পারেনি। প্রসঙ্গত বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামের মানুষের উন্নয়নের জন্যে টাকা দেবেন। সে টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে আটকে থাকবে, এটা হতে পারে না। মানছি, ‘লকডাউন’-এর জন্য কাজ আটকে ছিল। এ বার সেই সব কাজ দ্রুত শুরু করতে জেলা পরিষদকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” এদিকে জেলা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাতারের মহাচান্ডা, গলসি ১ ব্লকের আদ্রা, মেমারি ২ ব্লকের বোহার ২, রায়না ১ ব্লকের শ্যামসুন্দর, মন্তেশ্বরের বামুনাড়া ইফতারি মিলিয়ে মোট ১৪ টি পঞ্চায়েতে এখনো পর্যন্ত ৮০% খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা পরিষদের সভাপতি শম্পা ধাড়া এ বিষয়ে জানিয়েছেন, “কোনও পঞ্চায়েত ৯৭ শতাংশ কাজ করেছে, তো কোনও পঞ্চায়েত ১৩ শতাংশ কাজ করেছে। জেলার গড় খরচের চেয়েও অনেক পঞ্চায়েত পিছিয়ে রয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য পঞ্চায়েত স্তরে আমরা উন্নয়নের কাজে নজরদারির কথা ভাবছি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে আউসগ্রামের অমরপুর, রামনগর, ভাতারের বামুনাড়া, ভাতার, নিত্যানন্দপুর, বর্ধমান ১ ব্লকের বেলকাশ, সরাইটিকর, গলসির ভুঁড়ি, জামালপুরের জারগ্রাম, মেমারির দেবীপুর, দুর্গাপুর, পূর্বস্থলীর নিমদহ, মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রাম ইত্যাদি এলাকার পঞ্চায়েত স্তরে দুই কোটি টাকার বেশি তহবিলে পড়ে থাকার খোঁজ পাওয়া গেছে। জানা গেছে ওই পঞ্চায়েতগুলি গ্রাম উন্নয়ন কাজের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল, বিশ্বব্যাংকের অনুদান, রাজ্য সরকারের অনুদান ইত্যাদি মাধ্যমের সাহায্য নেয়। সে ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সূত্র অনুযায়ী জানাগেছে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে রয়েছে ৩৯ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা এরমধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ৭৩.৩৫ শতাংশ অর্থ। এরইমধ্যে বিশ্বব্যাংকের অনুদান বাবদ পঞ্চায়েতের খাতে ঢুকেছে ৮ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পাওয়া অনুদান অনুযায়ী পঞ্চায়েতগুলোতে মিলেছে প্রায় ২৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। গত বছরের অনুদান এবং এ বছরের প্রাপ্ত অনুদান মিলিয়ে পঞ্চায়েত মিলে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ খরচ হওয়ার পর এখনোও পঞ্চায়েত তহবিলে রয়েছে ২১৯ কোটি ২৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরে বিষয়টি নিয়ে জল্পনা ঝড় উঠেছে। বিজেপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে। সমগ্র বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আপাতদৃষ্টিতে টাকার পরিমাণ বেশি দেখালেও বাস্তবে এত টাকা পড়ে নেই। অনেক পঞ্চায়েত উন্নয়নের কাজ করেছে। লকডাউন-সহ নানা কারণে খরচের হিসাব ‘আপলোড’ করতে পারেনি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “মন্ত্রীর নির্দেশে পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে বৈঠক করে, উন্নয়নের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে বৈঠক করা হবে।” কিন্তু জানা গেছে বিরোধী শিবিরের বক্তব্য অনুযায়ী এদিকে মুখ্যমন্ত্রী টাকা নেই বলে কেন্দ্রের কাছে সম্প্রতি অর্থ সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু এখনো পঞ্চায়েত গুলিতে কোটি কোটি টাকা পড়ে রয়েছে এক দিকে তো উন্নয়নের কাজ এগোয়নি অন্যদিকে টাকাগুলি অন্য কোন খাতেও ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ। আপনার মতামত জানান -