এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সহযোদ্ধাদের রক্তের ঋণের প্রতিশোধ নিতে চরম শপথ সিআরপিএফ জওয়ানদের, পাশে গোটা দেশের আবেগ

সহযোদ্ধাদের রক্তের ঋণের প্রতিশোধ নিতে চরম শপথ সিআরপিএফ জওয়ানদের, পাশে গোটা দেশের আবেগ


সাম্প্রতিক কালের মধ্য ভারতীয় বাহিনীর ওপর সবচেয়ে বড় হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীর। পাক মদদপুষ্ট জৈশ জঙ্গিদের হামলা কেড়ে নিল ৪২ জন সিআরপিএফ জওয়ানের প্রাণ। উরির থেকেও ভয়াবহ জঙ্গী হামলায় আবারও রক্তাক্ত হল ভূস্বর্গ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বদলার আগুনে টগবগিয়ে ফুটছে দেশবাসীর রক্ত। প্রতিবাদের ঝড় উঠে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের প্রান্তে প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছে মানুষের ঢল।

এদিকে সহকর্মীদের মৃত্যুর জবাব দিতে প্রস্তুত সিআরপিএফ জওয়ানরাও। শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ সিআরপিএফের তরফ থেকে একটা ট্যুইট করা হয়। ট্যুইটে বদলার ভাবনা ব্যক্ত করে জানানো হয়েছে, ‘‌আমরা ভুলব না, আমরা ক্ষমাও করব না। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদদের আমরা স্যালুট জানাই। আমাদের শহিদ ভাইদের পরিবারের পাশে আছি। জঘন্য এই হামলার প্রতিশোধ আমরা অবশ্যই নেব।’ শহিদ জওয়ানদের স্মরণে এদিন দু মিনিট নীরবতাও পালন করে সিআরপিএফের শাখা সংগঠন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে অর্ধনমিত রাখা হয় বাহিনীর পতাকাও। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধাও জানানো হয় এদিন। শ্রদ্ধা জানানোর সময় সমবেত কন্ঠে বলা হয়, “বীর জওয়ান অমর রহে।” অন্যদিকে, প্রোটোকলকে গ্রাহ্য না করে অভিনব কায়দায় নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এক শহীদের কফিন কাঁধে তুলে নেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মন্ত্রিসভার সুরক্ষা বিষয়ক কমিটির বৈঠক সেরে পুলওয়ামার উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজনাথ সিং৷

হামলা পরবর্তী জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখাটাই উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক ও সেনার উত্তর কম্যান্ডের প্রধান লেফট্যানেন্ট রণবীর সিং।‌ সেখানকারই সেনাক্যাম্পে শায়িত কফিনবন্দি নিহত জওয়ানদের দেহকে কাঁধ দিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানালেন তিনি। শদীহদের মরদেহের সামনেই শপথ নিলেন রাজনাথ, ‘এই বলিদান বিফলে যাবে না৷ শত্রুদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে৷’ সবমিলিয়ে ভারতমাতার বীর সন্তানদের এইভাবে অকালে শহীদ হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁদের সহযোদ্ধা থেকে শুরু করে গোটা দেশবাসীই – আওয়াজ একটাই, বদলা চাই!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!