এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মহিলা অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছেও কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল! দিদিকে বলোতে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা!

মহিলা অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছেও কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল! দিদিকে বলোতে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা!

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে উঠে এসেছিল, দলের নেতা-নেত্রীদের দুর্নীতি। বাড়িঘর দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারি সাহায্য, প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই উপভোক্তাদের কাছ থেকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা কাটমানি নিতেন বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল একাংশকে। তবে প্রথম দিকে সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু যেই লোকসভা নির্বাচনে তাদের ফলাফল খারাপ হয়, তৎক্ষণাৎ তারা সেই দাবি খতিয়ে দেখতে শুরু করে।

যার পরে আশ্চর্যজনকভাবে উঠে আসে সেই দুর্নীতির কথা। তবে দলীয়স্তরে দুর্নীতি রোধ করা বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দিদিকে বলো কর্মসূচি চালু করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছোতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে মানুষের অভাব, অভিযোগ শোনার চেষ্টা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এই দিদিকে বলো কর্মসূচি চালু করে তৃণমূল সন্তোষ বোধ করলেও দুর্নীতি যে কমেনি, তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল।

এবার মহিলা অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে চোপড়ায়। বস্তুত, মিশন মাতৃকা 100 কর্মসূচিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার উন্নয়নের জন্য বিএডিপির ফান্ড থেকে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত মাঝিয়ালি সংঘকে জেলা প্রশাসনের তরফে একটি নিশ্চয়যান দেওয়া হয়।

যার জন্য আগে থেকেই মহিলাদের সেই গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, এই অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে নিযুক্ত হন সুধারানী সিংহ নামে এক মহিলা। তবে অভিযোগ, এরপর থেকেই প্রতি মাসে তাকে 10 হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এক লক্ষ টাকা কাটমানি দাবি করে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা নেত্রী। যার মধ্যে রয়েছেন, চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা চোপড়া ব্লক তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী আসমত আরা বেগম এবং তার স্বামী এক্রামুল হক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যা নিয়ে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। এদিন এই প্রসঙ্গে সেই অ্যাম্বুলেন্স চালক সুধারানী সিংহ বলেন, “2016 সালে মাঝিয়ালী সংঘ থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালানোর ট্রেনিং নিই। 2018 সালে হেমতাবাদ একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী আমার হাতে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি তুলে দেন। এরপর প্রতি মাসে 10 হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই দম্পতি আমার কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত বেতন পাইনি। টাকা ফেরত চেয়েছি।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “কিন্তু টাকা ফেরত চাইলে অ্যাম্বুলেন্স ফেরত নেওয়ার ভয় দেখায়। বিষয়টি বিধায়ককে জানিয়েছিলাম। দিদিকে বলোতে ফোন করেও জানিয়েছি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।” তাহলে কি তৃণমূলের বাহিনীর কাছ থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও রক্ষা পাবে না? এদিন এই প্রসঙ্গে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান মুখ খোলেন।

তিনি বলেন, “বিষয়টি অনেকদিন আগে থেকেই শুনেছি। আমরা দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, নেত্রী কি বলছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে আসমত আরা বেগম বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে সুধাদেবীর পেছন লোক আছে, তারাই এটা করাচ্ছে। আমাকে ও আমার স্বামীর বদনাম করার জন্য বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে তার স্বামী তথা ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য এক্রামুল হক বলেন, “আমি সরকারি কোনো প্রতিনিধি বা জনপ্রতিনিধি নই। তাই টাকা নেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। আমাকে বদনাম করার জন্যই এইসব করা হচ্ছে।” কিন্তু হঠাৎ তাদের কেন বদনাম করতে যাওয়া হবে! যদি তারা টাকা নাই নেন, তাহলে কেন সুধাদেবীর মত অ্যাম্বুলেন্স চালক তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করবেন! দিনের শেষে এই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!