এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘কাটমানি’ উড়িয়ে ‘বাংলার বাড়ি’তে পুরো টাকা পেতে নতুন নিদান মন্ত্রীর – জেনে নিন বিস্তারিত

‘কাটমানি’ উড়িয়ে ‘বাংলার বাড়ি’তে পুরো টাকা পেতে নতুন নিদান মন্ত্রীর – জেনে নিন বিস্তারিত


রাজ্য বহুদিন ধরেই কাটমানি বিতর্কে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কাটমানি ফেরত এর ব্যাপারে। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে জনসংযোগ কর্মসূচিতে নেমে মন্ত্রী, বিধায়করা একের পর এক কাটমানির অভিযোগ পাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার তাই নতুন ব্যবস্থা নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি‌।

এবার থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ঘর সম্পূর্ণ হওয়ার পর রাজ্য সরকারের ছবি, লোগো লাগানো স্টেনসিল বোর্ড লাগানোর পরেই সম্পূর্ণ টাকা পাওয়া যাবে। স্টেনসিল বোর্ড লাগানোর পর সমস্ত বাড়ির ছবি অনলাইনে পুর দপ্তরে পাঠালে,সেই নথি নিয়ে পুরো দপ্তরের অফিসাররা খোঁজ নিতে যাবেন। রিপোর্ট পজিটিভ যদি হয়, তবে শেষ 58 হাজার টাকা প্রাপকরা একাউন্ট এ পাবেন।

এব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘সরকারি লোগো ও বোর্ড লাগিয়ে বাড়ি পুরোপুরি তৈরি করার রিপোর্ট এলে তবে অনলাইনে প্রাপকের একাউন্টে টাকা পাঠানো হবে। কারণ অনেকে বাড়ি সম্পূর্ণ না করি রাজ্যের পাঠানো শেষ দু-তিন কিস্তির টাকা আত্মসাৎ করছেন। প্রতিবেশীরাও জানতে পারছেন না বাড়িটি কে দিল, টাকা কোথা থেকে এল। উল্টে বাড়ি সম্পন্ন না করে নিজেদের দায় এড়াতে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেই কাটমানির মিথ্যা অভিযোগ খাড়া করছেন।’

উল্লেখ্য, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী 5 লক্ষ ‘বাংলার বাড়ি’র প্রকল্প ঘোষণা করেন। কিন্তু এই ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি জেলার মিটিং এ গিয়ে ‘বাংলার বাড়ি’ দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন এ ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার। তিনি এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, “বাংলার বাড়ি পেতে কাউকে কোন টাকা দিতে হয় না। যে গরিব মানুষ যোগ্য সে বাড়ি পাবেই, অন্যরা পাবে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুধু ‘বাংলার বাড়ি’ না, পঞ্চায়েতের ‘আমার ঠিকানা’ তেও একই ভাবে বিশ্ব বাংলা লোগো ,ছবি দেওয়া বোর্ড লাগাতে হবে।

সরকারি পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে অনেকে টাকা নিয়ে বাড়ি তৈরি না করে সেই টাকা খরচ করে ফেলছেন এবং নিজেদের দায় আড়াল করতে কাটমানির গল্প ফাঁদছেন। নিয়ম অনুযায়ী, 500 বর্গফুট জমি যার তাকে রাজ্য সরকার তিন লক্ষ 48 হাজার টাকা দিচ্ছে। কিন্তু এই টাকা পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসবে। প্রথম দফায় নিজের থেকে 25 হাজার টাকা দিয়ে সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হয়। সেই একাউন্টে 35000 টাকা প্রথম দফায় সরকার দেয়। মোট 60 হাজার টাকা দিয়ে সাড়ে তিনশো বর্গফুটের বাড়ির ভিতের ছবি পাঠাতে হয় তারপর এক লক্ষ করে দুই কিস্তিতে টাকা সরকার ব্যাংকে পাঠাবে‌।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রথম এক লক্ষ্য দিয়ে লিংটন পর্যন্ত ঢালাই করতে হবে এবং দ্বিতীয় এক লক্ষ দিয়ে ছাদ পর্যন্ত ঢালাই করতে হবে‌। পরের 50 হাজারে বাড়ির শৌচালয় তৈরি করতে হবে এবং প্লাস্টার করতে হবে। শেষ 58000 তখনই আসবে যখন এই পুরো ব্যাপারটা তথ্য ও নথি সমেত পুর দপ্তরে জমা পড়বে এবং পুর আধিকারিকরা তদন্ত করে যাবে। ইতিবাচক রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে অবশিষ্ট 58 হাজার টাকা পাওয়া যাবে কিনা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিশ্ব বাংলার লোগো না লাগালে শেষ কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে না।

এ বিষয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলার বাড়ি’ পেতে গেলে প্রাপকদের 25 হাজার টাকা দিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে। প্রাপকরা কাউন্সিলর ও পুরসভার কাছ থেকে এই 25000 টাকা দিয়ে একাউন্ট খোলার নির্দেশ পেয়েছেন, যাকে তারা কাটমানি ভেবেছেন। অনেকেই বাড়ি তৈরি না করে টাকা খরচ করে ফেলেছেন এবং কাউন্সিলর ও পুরসভার ওপর কাটমানির দায় চাপাচ্ছেন।

সাড়ে তিনশ বর্গফুটের ওপর ‘বাংলার বাড়ি’ বানিয়ে খুশি নন যারা, তাঁরা নিজ খরচে 500 বর্গফুটের ওপর বাড়তি বাড়ি বানিয়ে নিতে পারেন। সরকার সেই সুযোগ দিচ্ছে। তবে তার জন্য প্ল্যান আগেই বানাতে হবে। না হলে সরকার অনুমোদিত টাকা পাওয়া যাবে না। তবে বিরোধীদের দাবি,  কোনভাবেই শাসক পক্ষ এই কাঠমানি নেওয়া আটকাতে পারছে না। তাই এখন শাসক পক্ষ প্রাপকদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!