এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা >  “যারা কাটমানি দিয়েছেন তারাও দোষী” বিধানসভায় বিস্ফোরক হেভিওয়েট মন্ত্রী

 “যারা কাটমানি দিয়েছেন তারাও দোষী” বিধানসভায় বিস্ফোরক হেভিওয়েট মন্ত্রী

কথায় আছে, যখন কেউ অস্বস্তি সহ্য করতে পারে না, ঠিক তখনই তারা উল্টোদিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করে। ঠিক এইরকমই যেন অবস্থা হয়েছে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। যার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূলের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। 22 টা আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।

আর দলের এই খারাপ ফলাফলের পরই ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকে দুর্নীতি যে দলে জাঁকিয়ে বসেছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত 18 জুন কলকাতার নজরুল মঞ্চে দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে কেউ কাটমানি খেলে তা তাকেই ফেরত দিতে হবে বলে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

আর এরপরই দিকে দিকে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, বিধায়কদের নামে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করতে শুরু করেন। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই দুর্নীতিগ্রস্তদের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতেও দেখা যায় জনসাধারণকে। আর এতে আরও চাপে পড়ে তৃণমূল। পরিস্থিতি সামলাতে দলের 99.99 শতাংশ কর্মীই সৎ বলে এক নতুন তত্ত্ব সামনে আনেন তৃনমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, “আসলে তৃণমূলের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। আর তাই এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে কাটমানি নিয়ে হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। কিন্তু এতে সবথেকে বিপাকে পড়ছে তৃণমূল।”

আর এই পরিস্থিতিতে যখন কাটমানি ইস্যুতে কার্যত একঘরে হতে শুরু করেছে শাসক শিবির, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে মুখ খুলে সেই যে সমস্ত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা কাটমানি নিয়েছেন, সেই সাধারণ মানুষের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলতে দেখা কেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন কাটমানি নিয়ে শাসকদলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন বিরোধী দলের বিধায়করা। আর তখনই এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কাটমানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের অপব্যবহার করা হচ্ছে। কাটমানি যারা নিয়েছেন ও দিয়েছেন, তারা সমান দোষী।” আর মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যকে ঘিরে এবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

অনেকে বলছেন, শাসক দলের উচিত আইন মোতাবেক দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দেওয়া। কিন্তু তা না করে যেভাবে হতভাগ্য সাধারণ মানুষের দিকে দোষারোপ তুলে কেন তারা কাটমানি দিয়েছেন, তাই তারাও দোষী বলে বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিলেন পার্থবাবু।

সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, যখন মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখন সেই মেকীকে খাঁটি এবং ভুলকে শুদ্ধ ভেবে অদ্ভুত এক আত্মপ্রসাদ লাভ করে। বর্তমান শাসকদল কাটমানিতে বর্তমানে কার্যত কোণঠাসা, আর তাই এখন সেই ইস্যু থেকে দলের নেতাকর্মীদের কিছুটা রক্ষা করতে এবং দলের ভাবমূর্তি সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছভাবে তুলে ধরতেই এই ধরনের মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!