কাটমানি নিয়ে সাংবাদিকরা বিজেপির কাছে টাকা খেয়ে সংবাদ করছে দাবি অনুব্রতর কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য June 27, 2019 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে দলীয় নেতাদের দুর্নীতিই যে প্রধানভাবে দায়ী, তা ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকে উঠে এসেছিল। আর এরপরই গত 18 জুন নজরুল মঞ্চে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে কাটমানি খেলে কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর এহেন হুঁশিয়ারির পরেই দিকে দিকে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সাধারন মানুষ। যাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূল প্রবল বিপাকে পড়লে এর সমস্ত দায় সাংবাদিকদের ওপরই চাপালেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রিয় সৈনিক বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। সূত্রের খবর, এদিন বীরভূমের বাহিরি- পাচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি ছেড়ে প্রায় এক হাজার লোক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানেই সাংবাদিকদের তরফের তাকে কাটমানি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদেরকে ঘিরে কাটমানি ফেরতের দাবিতে কেন বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে! এদিন এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এসব বাজে কথা। আমাকে দেখাও এরকম কটা ঘটনা ঘটেছে! না জেনে কথা বলবে না। আসলে সাংবাদিকরা বিজেপির কাছে পয়সা খেয়ে এই খবরগুলো করছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সংবাদমাধ্যমের দিকে অনুব্রত মণ্ডল এই ব্যাপারে অনুব্রত মণ্ডল প্রশ্ন তোলায় রীতিমতো হতবাক সকলে। তাহলে কি বিরুদ্ধ খবর দেখানো যাবে না! এইভাবে প্রকৃত সত্য খবর দেখালেই সেটাকে বিজেপির খবর করা হচ্ছে তকমা দিয়ে দেবেন তৃণমূল নেতারা! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে এদিন কাটমানি খাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনো তৃণমূল নেতা দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে কি তাকে শাস্তি দেওয়া হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওসব পরে হবে। সিপিএম আমল ভুলে গেছ! 1 লাখ 16 হাজার টাকার বাড়ি ছিল। কোনো বাড়ি হত না। পুরোটাই নিয়ে নিত। তোমাদের তখনও জন্মই হয়নি। ওসব ছাড়ো।” আর এখানেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, যে দোষে সিপিএম দুষ্ট তাহলে সেই দোষই কেন করতে গেলেন তৃণমূল নেতারা! তাহলে সিপিএমকে সরিয়ে মানুষ যে সুশাসনের আশা করেছিল, সেটা কি আদৌ রাজ্যে আসল! অনুব্রত মণ্ডলের কথায় এখন এই সব প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে। আপনার মতামত জানান -