আবাস যোজনায় কাটমানি আটকাতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ পঞ্চায়েত দপ্তরের কলকাতা রাজ্য September 10, 2019 লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল কিছুটা খারাপ হওয়ার পরই দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে এক বৈঠকে কাটমানি যাতে নেওয়া না হয়, তার জন্য সকলকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু যে মুখের কথায় কাজ হবে না, তা বুঝে এবার কাজেও তা করে দেখাতে চাইছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। কিছুদিন আগেই 100 দিনের কাজে কাটমানি খাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আসায় সেই ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হয়েছে। আর এবার বাংলার আবাস যোজনা নিয়েও নেওয়া হল কড়া অবস্থান। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত জেলায় পাঠানো এক নির্দেশিকার 6 নম্বর পয়েন্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে সমস্ত রকম অনিয়মকে এড়িয়ে চলতে হবে। কোনোস্তরেই উপভোক্তাদের কাছে কোনো টাকা যাওয়া যাবে না। যদি এরূপ কোনো অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে ওঠে, তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।” আর পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় পাঠানো এরূপ নির্দেশিকা এইভাবে এই প্রথম আসায় রীতিমতো হতচকিত হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। তাহলে কি সত্যিই দুর্নীতি বাসা বেধেছে! আর তাই কি পঞ্চায়েত দপ্তরকে এইভাবে নির্দেশিকা পাঠিয়ে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গেল! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রামাঞ্চলে একটি বাড়ি করার জন্য 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা দেওয়া হয়। জঙ্গলমহলে সেই টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয় 1 লক্ষ 30 হাজার টাকা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছিল যে, বাড়ি পাওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তাদের 20 হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে। আর এই সমস্ত অভিযোগ যাতে আর না ওঠে, তার জন্যই এই কড়া নির্দেশিকা পাঠানো হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, বিগত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই এই বাংলার আবাস যোজনার প্রকল্পের কাজ থমকে ছিল। জানা গেছে, 13 টি জেলায় মোট 6 লক্ষ 17 হাজার 482 টি বাড়ি তৈরীর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মধ্যে 4 লক্ষ 32 হাজার বাড়ি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তবে অনুমোদন হয়েছে মোট 1 লক্ষ 32 হাজার 847 টি বাড়ি। আর এই অনুমোদনের পরই এই প্রকল্প সম্পর্কে সেই সমস্ত উপভোক্তাদের ডেকে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত বিডিওরাই এই সচেতন শিবির করবেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি নির্দেশিকায় 120 দিনের মধ্যে সমস্ত বাড়ি তৈরীর কাজ শেষ করে দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। যেখানে সেই উপভোক্তার সহায়তার বাড়ির ছবি অনলাইনে জিও- ট্যাগিং করে পাঠালে দিল্লিতে বসেই তা চাক্ষুষ করতে পারবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অফিসারেরা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জেলায় জেলায় পাঠানো বাংলার আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে এহেন কড়া নির্দেশিকা দুর্নীতি কমানোরই একধাপ পদক্ষেপ। হয়ত বা সত্যিই জেলায়-জেলায় পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা কর্তারা কিছুটা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই খবরের সত্যতা যাচাই করেই এবার দুর্নীতি কমাতে এবং বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পকে স্বচ্ছতায় মোড়কে নিয়ে আসতে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -