কাটমানি নিয়ে উত্তালের মাঝেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল, সাসপেন্ড হলেন এই হেভিওয়েট নেতা কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য July 29, 2019 লোকসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূলের খারাপ ফলাফলের পেছনে দুর্নীতিই যে প্রধানভাবে দায়ী, তা ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকে আঁচ করতে পেরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো ভোটের ফলাফল প্রকাশের কিছুদিন পরেই দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে নজরুল মঞ্চের বৈঠক থেকে কাটমানি নেওয়ার ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করে দেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। কেউ কাটমানি খেলে তার টাকা তাকেই ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন পড়তে শুরু করে। দিকে দিকে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ঘিরে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। যা তৃনমূলের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে ফুটে উঠতে শুরু করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, দলের ভাবমূর্তিকে স্বচ্ছ রাখতেই কাটমানির ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীদের কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে দলের স্বচ্ছ ভাবধারাকে সকলের সামনে উপস্থাপিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি।আর এই পরিস্থিতিতে এবার কাটমানি নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য, ঠিক তখনই দুর্নীতির সঙ্গে তারা যে কোনোভাবেই আপস করবে না, তা ফের আরও একবার প্রমাণ করে দিল রাজ্যের শাসকদল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় উত্তর দিনাজপুরের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লায়লা খাতুনকে শনিবার সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। কিন্তু ঠিক কী অভিযোগ ছিল এই প্রধানের বিরুদ্ধে! জানা গেছে, গত 3 জুলাই এই গ্রাম পঞ্চায়েতের 10 জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের টাকা তছরুপের অভিযোগ তুলেছিলেন। আর তারপরেই এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এই পঞ্চায়েতের প্রধানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিন এই প্রসঙ্গে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “প্রাথমিকভাবে প্রধানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। তদন্তে যদি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাকে পুনরায় পদে বহাল করা হবে। আর যদি অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কাটমানি নিয়ে ডামাডোলের মাঝেই তৃণমূল যে কোনোওভাবেই দুর্নীতিকে আপস করবে না, তা দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে বহিষ্কারের মধ্যে দিয়ে আরও একবার প্রমাণ করে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করলেন শাসকদলের নেতৃত্বরা। আপনার মতামত জানান -