প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার মানুষের মনের কাছাকাছি যেতে গেরুয়া শিবির কিন্তু মনীষীদের আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি বহিরাগত তকমা ঝেড়ে ফেলতে বিজেপি রাজ্যে শুরু করেছে বিভিন্ন মনীষীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125 তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ভিক্টোরিয়ায় হয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। কিন্তু এরই মাঝে বালুরঘাটে দেখা গেছে অন্য ছবি। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। বালুরঘাটের বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কাট আউট চোখে পড়ছে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম থেকে অরবিন্দ রয়েছেন।

খুব স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের মনীষী প্রীতি প্রশ্নের মুখে। তবে ঘটনার প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তবে তিনি প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে তৃণমূল পরিকল্পনামাফিক এ ধরনের কাট আউট তৈরি করেছে। যদিও ঘাসফুল শিবির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর বালুরঘাট থানার পতিরাম, বোল্লা এবং বাউল এলাকায় এমন একাধিক কাট আউট দেখা যাচ্ছে যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পায়ের কাছে বাংলার মনীষীদের ছবি। যথারীতি কাট আউটের নিচে আবার সৌজন্যে নাম রয়েছে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এর নাম।

যথারীতি এই ঘটনা সামনে আসায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন সাংসদসহ বিজেপি নেতা, কর্মীরা। আর তারপরেই বিজেপির অভিযোগ- তৃণমূলের দুষ্কৃতিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বোল্লা এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এর দাবি,  বিজেপি এবং বিজেপি সাংসদকে বদনাম করার চূড়ান্ত ষড়যন্ত্র তৃণমূলের। এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বিজেপির আইটি সেলের কথা বলেন।

তিনি জানান, এই ঘটনাটি যে তৃণমূল ঘটিয়েছে তা আইটি সেল নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজেন শীল জানিয়েছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা বার্তার কাট আউট বিজেপির তরফ থেকেই লাগানো হয়েছে। মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে দেখার পরেই তাঁরা পাল্টা দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূলের ঘাড়ে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে এই কাট আউট কান্ড ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন।একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যখন বাংলাকে পাশে পাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন গেরুয়া শিবিরের, ঠিক সেসময় এ ধরনের কাট আউট মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই গেরুয়া শিবিরের প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। আপাতত এই ঘটনাটির পেছনে কারা তা নিয়ে চলছে তদন্ত।