দলীয় কর্মীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার, অস্বস্তিতে শাসকদল কলকাতা রাজ্য December 21, 2019 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পেছনে দলীয়স্তরে নেতাদের দুর্নীতি প্রধান ভাবে দায়ী বলে পর্যালোচনায় উঠে এসেছিল। যার পরেই সেই ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল দলীয় নেতাদের স্বচ্ছভাবে কাজ করার নিদান দিয়েছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো কিছু সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গেলেই তৃণমূল নেতারা কাটমানি নিতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর সেই প্রবণতা যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য সকলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলের নেতারা কাটমানি নেওয়া বন্ধ করে দিলেও, এবার দলের এক নেতার কাছে শীর্ষস্তরের এক নেতা কাটমানি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। যা নিঃসন্দেহে গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারকে প্রবলভাবে অস্বস্তিতে ফেলল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, বিগত বেশ কয়েক বছরে কাউকে প্রাথমিক শিক্ষক, কাউকে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন সেই সোমনাথ বেরা। কিন্তু তৃণমূলের এই নেতার কাছে টাকা দিয়েও যখন চাকরি হয়নি সেই সমস্ত নিচুতলার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের, তখন তারা সোমনাথবাবর কাছে টাকা চাইতে জান। আর তখনই বেশ কয়েকজনকে 60 লক্ষ টাকার চেক ধরিয়ে দেন সেই সোমনাথ বেরা। তবে অভিযোগ, সেই চেক বাউন্স করছে। সূত্রের খবর, সোমবার এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা। আর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একাংশের আন্দোলনে এখন প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা পরিষদের তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সেই সোমনাথ বেরা। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকেও। কেননা দলের নেতা-কর্মীরা যদি দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তোলেন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে দলের গঠনতন্ত্রের দিকেই আঙুল তুলতে শুরু করে। আর তৃণমূলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নিচুতলার নেতাকর্মীদের এহেন দুর্নীতির অভিযোগ এখন রীতিমত বাড়তি অক্সিজেন পাইয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ কি সত্যি! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই সোমনাথবাবুকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর এভাবে দলের নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, কোনো জবাব মেলেনি। সব মিলিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগে দলেরই নেতা তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাঠগড়ায় দাঁড়িনোয় প্রবল অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। আপনার মতামত জানান -