এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাটমানির ‘লোভে’ বহিরাগতদের ‘জামাই আদর’? তৃণমূল নেতাদের ‘কীর্তিতে’ ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়স্তরে

কাটমানির ‘লোভে’ বহিরাগতদের ‘জামাই আদর’? তৃণমূল নেতাদের ‘কীর্তিতে’ ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়স্তরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কাটমানির লোভে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে দুর্গাপুরে। যার ফলে চাকরি পাচ্ছেন না স্থানীয় এলাকার যোগ্য কর্মচারীরা, এমনই অভিযোগ দুর্গাপুরে। কেউ কেউ করে সেই সব এলাকাগুলিকে ডাকছে ‘জামাইপাড়া’ নামে। আর কোম্পানির নাম নাকি ‘জামাই প্রাইভেট লিমিটেড’।

অভিযোগকারীদের দাবি, কিছু অসাধু শ্রমিক নেতার জন্য আজ সেখানকার কর্মীরা বঞ্চিত। স্রেফ মুনাফা লাভের জন্য এই কান্ডটি করছেন কয়েকজন। বহিরাগতদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ দিলে প্রচার কম হবে, টাকা নয়ছয়েরও সুবিধা হবে বলেই অনেকের ধারণা। সেই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছেন কিছু অসাধু শ্রমিক নেতা। অভিযোগ, অনেক নেতা আবার কাজ দেওয়ার পাশাপাশি ‘জামাই’ দের বিভিন্ন দখল করা জমিতে অর্থের বিনিময়ে ঘর তৈরিতেও সাহায্য করছেন। এরকম অভিযোগ লাগাতার ওঠার ফলে সহজেই শিল্প নগরীতে বেড়েছে ক্ষোভ। যুবকরাও রয়েছেন কর্মহীন অবস্থায়।

শিল্পক্ষেত্রের দখলদারি নিয়ে শাসক দলে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িও শুরু হয়েছে। তাই এখনই শক্ত হাতে হাল না ধরলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পিকে-র টিম হোমওয়ার্ক মাঠে মারা যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। শ্রমিক সংগঠনের এই হাল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মূল সংগঠনে থাকা নেতা থেকে কাউন্সিলারদেরও। ক্ষোভ জমেছে তাঁর দলেরই অন্দরে। কেউ কেউ এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছে ‘জামাই আদর’-এর তত্ত্বটি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাম্প্রতিককালে দুর্গাপুরের একটি লাভজনক বৃহৎ বেসরকারি কারখানার গেটের সামনে শাসক দলের দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়িয়েছে প্রসাশনের। ওইদিন স্থানীয় বিধায়ক তথা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল তাঁর অনুগামীদের নিয়ে কোম্পানির গেটে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অভিযোগ তুলে বিপক্ষ শিবিরের শ্রমিক নেতা আশিস কেস বলেছেন, “ওঁর অধীনে থাকা কারখানাগুলিতেও তো একই হাল। উনি তো জামাইদের কাজ দিয়েছেন। তাদের বসবাসের জায়গা দিয়ে নিজের বাড়ির সামনে জামাইপাড়া গড়ে তুলেছেন।

দুর্গাপুরের শিল্পমহলে অবশ্য বিষয়টি নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় যুবকদের বঞ্চিত করে একটি চক্র বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের বাসিন্দাদের এখানে অর্থের বিনিময়ে কাজ দেয়। সম্পর্কে তাদের জামাই বলে পরিচয় দেয়। এক্ষেত্রে দু’টি সুবিধা রয়েছে, নেতাদের আখের গোছানো হচ্ছে। আবার স্থানীয়রা কাজের সুযোগ না পাওয়ায় নতুন শ্রমিক নেতাও উঠে আসছে না। তবে চাকরি দিয়েই জামাইদের কদর শেষ হয় না। এখানে আবার একটি জমি, কোয়ার্টার দখলের দালাল চক্রও সক্রিয়। তারাই অর্থের বিনিময়ে সেই জামাই ও তার পরিবারকে সেলের বা খাস জমিতে বসিয়ে দিচ্ছে। কখনও আবার কোয়ার্টার দখল করে তাদের হতে তুলে দিচ্ছে। এর ফলে বঞ্চনা বেড়েই চলেছে স্থানীদের।”

তবে এই জামাইরা যে ওই নেতাদের অনুগামী হয় তাও নয়। কারণ বেসরকারি কারখানার হাজিরা থেকেই অনেক নেতা কাটমানি খান। এমনকী ডিএসপির ঠিকাশ্রমিকদের মজুরি থেকেও মোটা অঙ্ক কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে নেতাদের পকেটে অর্থের যোগান কম না হলেও, এর কু-প্রভাব পড়তে পারে একেবারে উচ্চ পর্যায়ে। প্রভাব পড়তে পারে ভোট ব্যাঙ্কে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!