কাটমানি কাঁটা উপরে ফেলতে বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের প্রভাবশালী সংখ্যালঘু নেতার, প্রশংসার বন্যা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য July 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধীরা মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করেন যে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে এখন কাটমানি দিতে হয়। তবে সাম্প্রতিক কালে কোন রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে দুর্নীতি চলা নেতাকর্মীরা তা বন্ধ করলেও, অবস্থার কোনো উন্নতি হতে দেখা যাচ্ছে না। বারেবারে অভিযোগ উঠছে, শাসক দল ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, দুর্নীতি কমছে না। তাই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মোবাইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর পোস্ট করে জনগণের কাছে কাটমানি ইস্যুতে অভিযোগ চাইলেন তৃণমূলের লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির মিঞা। সূত্রের খবর, এদিন এই তৃণমূল নেতা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “লালাগোলায় কোনো কাজের জন্য কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যে কোনো দপ্তরের সরকারি আধিকারিকের যদি আপনাদের কাছ থেকে টাকা চায়, মন খুলে জানান। আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। পরিচয় গোপন করে রেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ সুবিধা নিলে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ করুন। আমি যদি কারও কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটা লিখতে পারেন।” আর তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির এহেন ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে। অনেকে বলছেন, তৃণমূল সতর্ক করার পরেও অনেক নেতা তাদের দুর্নীতি চালাতে শুরু করেছেন। আর তাই পরিস্থিতি যাতে বেগতিক না হয়, তার জন্যই সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতেই তৃণমূল নেতার এই ফেসবুক পোস্ট। যদিও বা এই গোটা ঘটনাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে কংগ্রেস। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “শাসকদলের দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা পাওয়া যায় না। আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগের ব্যবস্থা হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সামনে নিজেদের সাধু হিসেবে দেখাতে এই ধরনের পোস্ট। এর বেশি কিছু না।” তাহলে কি দলের কড়া বার্তার পরেও অনেক নেতারা এখনো দুর্নীতি থেকে নিজেদের সরিয়ে আনেননি? আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে এই দুর্নীতির নাগপাশ থেকে বের করতেই তৃণমূল নেতা এই ধরনের পোস্ট করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, “লোকমুখে কাটমানি নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। তাই মুখে না বলে অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছি। অভিযোগ পেলে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলব।” তবে বিরোধীরা বলছেন, শাসকদল এখন এই সমস্ত করে চমক দিতে চাইছে। কিন্তু আদতে তারা তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে এটিকে বন্ধ করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা, তাতে সাধারণ মানুষ ভয়কে উপেক্ষা করে কাটমানি নেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে কতটা সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -