কাটমানি মন্তব্যের জের,মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে শুরু হল পথ অবরোধ, বিক্ষোভে স্তব্ধ এলাকা উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 16, 2019 কাটমানির বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এইদিন শিলিগুড়িতে এসজেডিএ এর জমিতে নির্মিত বিধানমার্কেটে পরিদর্শনে যান তিনি. কিছুদিন আগে একটি দুর্ঘটনার কবলে পরে কয়েকটি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছিল। বিধান মার্কেটে আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান ঘরগুলির নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসে এই অভিযোগ তুললেন তিনি।তাঁর এই অভিযোগের পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এলাকায় পথঅবরোধ করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মন্ত্রী গৌতম দেব অভিযোগ করেন যে পুড়ে যাওয়া দোকানঘরের সংখ্যা ৭। অথচ সরকারি টাকায় ২০ টা দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে ও তা বিক্রি করা হচ্ছে। নির্মানের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ব্যক্তি এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে এমনটাই দাবি জানান তিনি। এরপর গৌতম দেব বাড়তি নির্মাণ হওয়া দোকান ঘর গুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা প্রথমে মন্ত্রী গৌতম দেবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন ও পরে বিধানরোড দখল করে পথ অবরোধে বসে পরে। পুলিশ এই অবরোধ তুলতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অবরোধে উপস্থিত বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা বলেন, “প্রতিটি দোকানের বৈধ কাগজপত্র আছে। উলটে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য দোকানঘর ছোটো হয়ে গেছে। আর কাটমানির প্রসঙ্গ আসে কোথা থেকে। যার যার দোকান ছিল তারাই তৈরি করছে। সেক্ষেত্রে কাটমানির অভিযোগ মিথ্যা।” এরপর মন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন “মন্ত্রী বলছেন দোকান ঘরগুলি ভেঙে দেওয়া হবে। আমরা বলছি ভাঙা হোক। দেখব। এর থেকেও বড় আন্দোলন হবে।” অবরোধকারী ব্যবসায়ীরা একযোগে দাবি করেন কাটমানি মন্তব্যের জন্য মন্ত্রী গৌতম দেবকে ব্যবসায়ীদের কাছে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। অবরোধ শুরুর একঘন্টা পর প্রশাসনের তরফে ব্যবসায়ীদের জানানো হয় যে তাঁরা ব্যবসায়ীর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মন্ত্রী গৌতম দেবের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করবেন। আগামী একসপ্তাহের মধ্যে সেই বৈঠকের আয়োজন করা হবে।পুলিশের থেকে এই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর অবরোধ উঠে যায়।তবে অবরোধকারীরা এই কথা বলেন যে মন্ত্রী গৌতম দেব এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে তাঁরা আগামীদিনে আরো বড় আন্দোলনে যাবেন। আপনার মতামত জানান -