এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবার কাটমানির অভিযোগে বিধ্বস্ত তৃণমূল! মারমুখী জনরোষ আছড়ে পড়ল বিডিও-প্রধানের ওপর!

আবার কাটমানির অভিযোগে বিধ্বস্ত তৃণমূল! মারমুখী জনরোষ আছড়ে পড়ল বিডিও-প্রধানের ওপর!


ভয়াবহ আমপানের দুর্যোগের পর অনেকের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আর সাধারন মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, সেই টাকা সরকারি বাড়ি প্রাপকের তালিকায় নাম থাকা সত্বেও পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টে উপভোক্তাদের তালিকায় একদম শেষের দিকে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে কাটমানি নিয়ে তাদের আগে বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

আর এই ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল ময়ূরেশ্বর 1 ব্লকের বড়তুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সনকপুরে। যার ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, এই বড়তুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 667 বাড়ি তৈরির অনুমোদন পাওয়া যায়। ইতিমধ্যেই সেই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই সনকপুর গ্রামের বেশকিছু মানুষ তাদের উপভোক্তার তালিকায় নাম থাকলেও, সেই বাড়ি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর এই ঘটনাতেই এদিন ময়ুরেশ্বর 1 ব্লক অফিসের সামনে বিডিওকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মমত সিরিয়াল নম্বর ধরে বাড়ি দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রধান বেশ কিছু উপভোক্তাদের কাছ থেকে 10 হাজার টাকা কাটমানি খেয়ে সেই সিরিয়াল নাম্বার ব্রেক করে নিচের দিকে নাম থাকা মানুষদের আগে বাড়ি পাইয়ে দিচ্ছেন। যার ফলে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন বিডিওকে বিক্ষোভের মুখে ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সত্যিই তো! কেন এমনটা হবে? যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা বাড়ি পাবেন। সেখানে এভাবে যদি স্থানীয় প্রধান দুর্নীতি শুরু করেন, তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি অনেকটাই নষ্ট হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উপভোক্তা মতিউর রহমান এবং নুরুল হাসানরা বলেন, “তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাড়ি পাচ্ছি না। প্রধান উপভোক্তা পিছু 10 হাজার টাকা কাটমানি নিয়ে সিরিয়াল ব্রেক করে অন্য উপভোক্তাকে বাড়ি পাইয়ে দিচ্ছেন। অথচ আমাদের মত প্রকৃত উপভোক্তাদের সুযোগ সুবিধা মিলছে না। জনগণ সরকারি সুবিধা ঠিকমত পাচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব সরকারি আধিকারিকদের। অথচ তারা দেখছেন না। এরই প্রতিবাদে আমাদের বিক্ষোভ।” কিন্তু প্রধানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গ্রামবাসীরা তুলছেন, তা কতটা সত্যি?

এদিন এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন স্থানীয় প্রধান কৈলাসপতি বাইন। এদিন তিনি বলেন, “তালিকায় থাকা ওই গ্রামের 170-180 জন পঞ্চায়েতে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। যারা আন্দোলন করছেন তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পঞ্চায়েতে আসেননি। এখন পরবর্তী অর্ডার না এলে কি করে দেব! সিরিয়াল নম্বর অনুযায়ী বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকেই বাইরে থাকেন। তাদের ডেকে পাঠাই। না এলে এখন তো আমাদের কিছু করার নেই। এখন ওরা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।” তবে যেভাব বিডিওকে বিক্ষোভের মুখে ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, তাতে কি বলছেন এই সরকারি আধিকারিক?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিডিও গোরাচাঁদ বর্মণ বলেন, “কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যায়নি। এখন অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন চলছে। আন্দোলনকারীদের পঞ্চায়েতে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। সেটা আমার কাছে ফরোয়ার্ড হয়ে আসার পর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করে দেব।”

এদিকে এদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে কাটমানির অভিযোগ করে বিডিওকে ঘেরাও করা হলেও, পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সব মিলিয়ে এবার ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি দেওয়া নিয়ে তীব্র দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিডিওকে ঘেরাও গ্রামবাসীদের। এখন শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!