ডিএ মামলায় আজই হতে চলেছে শেষ শুনানি? সরকার-কর্মচারী সবাই তাকিয়ে আদালতের দিকে কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 24, 2018 বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয়হারে বেতন না পাওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে অবশেষে মামলা করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ১৯৫৪ সালের একটি মামলার রায় দেখিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পরে না। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীদের পক্ষের দুই আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও সর্দার আমজাদ আলিকে নিজের নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন মাননীয় বিচারপতিরা। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে ইতিমধ্যেই মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁর দুদিনের সওয়ালে তুলে ধরেছেন মূলত চারটি বিষয়। এক, রাজ্য সরকারের আইন বলছে ডিএ সরকারি কর্মাচারদিকে অধিকারের মধ্যে পরে। দুই, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ১৯৫৪ সালের যে রায়ের কথা বলছেন তারপরে সুপ্রিম কোর্টেই বহু মামলার রায়ে স্পষ্ট ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পরে। তিন, সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকেই স্পষ্ট বছরে দুবার করে ডিএ দিতে হবে। এবং চার, ডিএর হার প্রাইস ইনডেক্স বা পিআইএর উপর নির্ভর করবে (সেটা কেন্দ্রের ইনডেক্স ফলো করেও হতে পারে বা রাজ্যের নিজস্ব ইনডেক্সও হতে পারে)। বিকাশবাবুর সওয়াল শেষ হলে মামলাকারীদের তরফে অপর আইনজীবি সর্দার আমজাদ আলি আদালতের কাছে আধঘন্টার সময় চান নিজের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। কিন্তু সময়াভাবে আগেরদিন তা সম্ভব না হাওয়ায় আদালত আজ আমজাদ সাহেবের বক্তব্য শুনবেন। আগের দিনই, আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বিকাশবাবু কোনো নতুন পয়েন্ট মামলায় যোগ করেননি। সুতরাং আজ যদি আমজাদ সাহেব নতুন কোনো পয়েন্ট যোগ না করে শুধুমাত্র কিশোরবাবুর সওয়ালের জবাব দেন – তাহলে সম্ভবত আজই ডিএ মামলার শেষ শুনানি হতে চলেছে। আর সেক্ষত্রে এই মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুতেই হয়ত এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়ে দিতে পারে। ফলে রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা – সবার নজর এখন কলকাতা হাইকোর্টের দিকে। আপনার মতামত জানান -