শেষ হল ডিএ মামলার আজকের শুনানি – কি হল শেষ পর্যন্ত? কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 10, 2018 রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অনেক আশা নিয়ে করা বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে বেতনের দাবিতে মামলার আজকের শুনানি শেষ হল। শেষ শুনানির দিনেই ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি শুনানি শেষ করতে চেয়েছিলেন – কিন্তু রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আরো একদিন অতিতিক্ত চান তাঁর বক্তব্য পেশের জন্য। আজ সেই শুনানির সময় কিশোরবাবু বিভিন্ন উদাহরণ টেনে দেখাতে চান একই পদে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম বেতন কাঠামো বর্তমান। বিচারপতিরা তা শুনে বলেন – আপনাদের দেওয়া উদাহরণ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে বেতন পার্থক্য, তা শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বা স্থান বিশেষের পার্থক্যের জন্য। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই নিয়ে কি কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম আছে? জবাবে কিশোরবাবু জানিয়ে দেন, না কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু ডিএর উপর কর্মচারীদের কোনো অধিকার নেই, তা রাজ্য সরকারের ইচ্ছামত ও সামর্থ্যমত দেওয়া হয়। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কিশোরবাবুর এই বক্তব্য শুনে রীতিমত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতিরা। পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ভারতবর্ষ তো স্বাধীন হয়ে গেছে এবং তার নিজস্ব সংবিধান আছে। তাহলে সেই সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করে এক এক জনকে এক এক রকম বেতন কিভাবে দিতে পারেন? যেখানে কোনো নির্দিষ্ট নিয়মই নেই – সেখানে কি করে দিল্লির বা চেন্নাইয়ের সরকারি কর্মীর সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের ডিএর পার্থক্য হয়? আপনি কি বলতে চাইছেন যেসকল সরকারি কর্মীরা দিল্লি বা চেন্নাইয়ে কাজ করেন তাঁরা রাজ্যে কাজ করা সরকারি কর্মীদের থেকে যোগ্যতর? জবাবে কিশোরবাবু আরো কিছু বক্তব্য পেশ করার জন্য অতিরিক্ত আরেক দিনের দাবি করেন, যা শুনে রীতিমত হেসে ফেলেন দুই বিচারপতি। এরপরেই তাঁরা নির্দেশ দেন মামলাকারীদের পক্ষ থেকে যদি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বলার থাকে তা আগামী ১৭ ই জুলাই শোনা হবে আর তারপরেই এই মামলার রায়দান করা হবে। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের অন্যতম শীর্ষনেতা সুবীর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগামী ১৭ ই জুলাই আমাদের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি ও বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য কিশোরবাবুর সওয়ালের জবাব দেবেন। তবে আজই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজ্যের তরফে তাঁর শুনানি শেষ করে আশা করা যাচ্ছে ডিএ মামলার রায় এই মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে। সবথেকে বড় কথা দুই মাননীয় বিচারপতি কিশোরবাবুকে প্রশ্ন করেছেন, সরকারি কর্মীদের দাবি যে অন্যায্য তার সমর্থনে প্রথমদিন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো উপযুক্ত তথ্য প্রমান কিন্তু আপনি দিতে পারেননি। বিচারপতিরা আজকের ‘অবজার্ভেশনে’ যেভাবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে একের পর এক পাল্টা প্রশ্ন করেছেন তাতে আমরা মানবিক রায় পাবো বলেই আশা করছি। আপনার মতামত জানান -