শেষ হল স্যাটে ডিএ মামলার শুনানি, কি দাঁড়াল আজকের শুনানির শেষে – জানুন বিস্তারিত কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য November 14, 2018 দীর্ঘদিনের ছুটির পর্ব মিটিয়ে আজ আবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাটে শুরু হল ডিএ মামলার শেষ পর্ব। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দেয় ডিএ সরকারি কর্মচারীদের নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সেই ডিএর হার কি হবে বা বছরে কবার করে দেওয়া হবে তা ঠিক করার দায়িত্ত্ব দেওয়া হয় স্যাটকে। এই প্রসঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি মামলাকারীদের অন্যতম ও কনফেডারেশন নেতা সুবীর সাহার সঙ্গে। সুবীরবাবু জানান, আজ সেই মামলার শুরুতেই শুরু হয় নতুন জটিলতা। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সহকারী ফিরদৌস শামীম বলতে উঠলে বাধা দেন সরকারি আইনজীবী। তিনি জানান, এই মামলায় আর কোনো ‘অ্যাডেড পার্টি’ করা যাবে না। সুবীরবাবু আরও জানান, এর জবাবে, মামলাকারীদের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি স্পষ্ট করে দেন – এখানে নতুন করে কোনও ‘অ্যাডেড পার্টি’ হয় নি। কলকাতা হাইকোর্ট থেকেই বিকাশবাবুরা এই মামলার সঙ্গে জড়িত আছেন, সুতরাং তাঁরা তো এমনিতেই এই মামলার ‘অ্যাডেড পার্টি’। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্যাটের বিচারপতিরা ফিরদৌস শামীমকে কিছু তথ্য ও নথি জমা দিতে বলেন, যা হয়ত আগামীকাল তাঁরা জমা করে দেবেন। এরপর, নিজের সওয়ালে আমজাদ সাহেব স্পষ্ট করে দেন – এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, মূলত দুটি বিষয়ে ফয়সালা হবে – ডিএর হার ও বছরে তা কতবার করে দেওয়া হবে। ডিএর হার কেন্দ্রীয় সরকার বা অন্যান্য রাজ্য সরকার সিপিআই মেনেই দেয়। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সুবীরবাবু বলেন, আমজাদ সাহেব যুক্তি দেন – কেননা সিপিআই হল স্বশাসিত সংস্থা – এবং তারা দীর্ঘদিন ধরেই বাজারের সূচক দক্ষতার সঙ্গে পরিমাপ করে এই ‘রেট’ নির্ধারণ করে। এমনকি আমাদের বর্তমান রাজ্য সরকারও কিন্তু সেই সিপিআই মেনেই ডিএ দেয়। রাজ্যের বাইরে কর্মরত এই রাজ্যেরই সরকারি কর্মচারীদের সেই সিপিআই মেনেই ডিএ দেওয়া হয় – সুতরাং বাকি সরকারি কর্মচারীদের জন্যও সেই একই হারে ডিএ দেওয়া হোক। এর মধ্যে তো তাহলে অন্য কোন জটিলতা থাকার প্রশ্নই ওঠে না। এর জবাবে বলতে উঠে সরকারি আইনজীবী বলেন, একে এই সংক্রান্ত যে হলফনামা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের ছিল তার জন্য প্রয়োজনীয় ‘ফাইল মিসপ্লেসড’ হয়ে গেছে, তার উপরে ফিরদৌস সাহেবরা নতুন করে ‘অ্যাডেড পার্টি’ হয়েছেন – তাই রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত সময় চায়। সুবীরবাবু জানান, এর পরিপ্রেক্ষিতে আমজাদ সাহেব আবারো স্পষ্ট জানান, বিকাশবাবুরা এই মামলাতে কলকাতা হাইকোর্ট থেকেই ছিলেন – সুতরাং ‘অ্যাডেড পার্টি’ ব্যাপারটি নিয়ে জটিলতা অর্থহীন। তাছাড়া সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন ‘ফাইল মিসপ্লেসড’, তাহলে উনি কি জানেন ঠিক কতদিন লাগবে সেই ফাইল খুঁজে পেতে – তাই সময় চাইছেন? ‘মিসপ্লেসড’ ফাইলের জন্য তো আর আদি-অনন্তকাল সময় দেওয়া যেতে পারে না। এছাড়া, কলকাতা হাইকোর্টের যে নির্দেশিকা, তাতে হিসেবে বলছে এই মামলার রায় আগামী ১১ ই ডিসেম্বরের মধ্যে দিতেই হবে। সুতরাং, এই মামলার শুনানি দীর্ঘায়িত করার কোন অর্থ হয় না। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে স্যাটের বিচারপতিরা আগামীকাল দুপুর ২:৩০ টার সময় এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। আপনার মতামত জানান -