এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অবশেষে ফয়সালা হতে চলেছে ডিএ মামলার! আজকের শুনানির পর সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনে নিন বিস্তারিত

অবশেষে ফয়সালা হতে চলেছে ডিএ মামলার! আজকের শুনানির পর সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনে নিন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের পাখির চোখ আপাতত বকেয়া ডিএ ও চার বছর চলে ‘রেকর্ড’ করা পে-কমিশন! পে কমিশনের রিপোর্ট জমা না দেওয়ার দায় অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন কমিটির ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেও, ডিএ নিয়ে বোধহয় এবার খুব শীঘ্রই আদালতের নির্দেশ পেতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করছেন দীর্ঘদিন ধরে ডিএ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু, হঠাৎ করে কি এমন হয়ে গেল, যেখানে এতখানি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছেন সরকারি কর্মীরা?

এর কারণ আজকের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাটে ডিএ মামলার শুনানি।এর আগে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দিয়েছিল ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সেই ডিএর হার কি হবে বা তা বছরে কতবার করে দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্যাটকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই মামলার শুনানিতে একবার স্যাট, একবার হাইকোর্ট, একবার ‘ফাইল মিসপ্লেসড’, একবার গ্রীষ্মের ছুটি – এরকম নানা বাহানা করে মামলা পিছোনোর চেষ্টা করেন সরকারি আইনজীবীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশেষে আজ সেই মামলার শুনানি ছিল স্যাটে এবং সবথেকে বড় কথা আজকের শুনানির পরে রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল শেষ হয়ে গেল এই মামলায়। এই প্রসঙ্গে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের অন্যতম শীর্ষনেতা সুবীর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজকের শুনানিতে স্যাটের বিচারপতিরা রাজ্য সরকারের কাছে স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছিলেন, রাজ্য যে ডিএ দেয় তা কোন ফর্মুলা মেনে? এবং সেই ফর্মুলার স্বপক্ষে রাজ্য সরকারের কাছে কোনো প্রমান আছে কিনা? কিন্তু, আজকের শুনানির সময়, এর স্বপক্ষে কোনো যুক্তি বা প্রমান কিছুই দিতে পারেননি রাজ্য সরকারি আইনজীবীরা।

সুবীরবাবু আরও জানান, ফলে রাজ্য সরকারি আইনজীবীরা বলতে চেষ্টা করেন যে রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, রাজ্য সরকারের উপার্জন নেই – ফলে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি – এই কথার তীব্র বিরোধিতা করেন, তিনি স্পষ্ট জানান, এখানে যে আলোচ্য বিষয় – তার সঙ্গে রাজ্যের আয় বা রাজ্যের দেনার কোনো সম্পর্ক নেই। স্যাটের বিচারপতিরাও আমজাদ সাহেবের সেই যুক্তি মেনে নেন। এছাড়াও বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কর্মচারীর বেতন বা ডিএ নির্ভর করে প্রাইস ইনডেক্সের উপর – তার সঙ্গে সরকারের আর্থিক অবস্থার কোনো সম্পর্ক নেই – একথা সুপ্রিম কোর্টের রায় বলছে।

সুবীরবাবু এরপরে জানান, সবমিলিয়ে এই মামলার মূল আলোচ্য বিষয় – কোন ফর্মুলা মেনে ডিএ দেওয়া হয় বা ভবিষ্যতে হবে, সেই প্রসঙ্গে এর আগে রাজ্য সরকার হাইকোর্টেও যেমন কোনো প্রমান দিতে ব্যর্থ হয়েছিল, স্যাটেও সেই একইভাবে কোনো প্রমান তুলে ধরতে পারল না। সবথেকে বড় কথা স্যাটে ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল আজই শেষ হয়ে গেল। ফলে, রাজ্য সরকারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বক্তব্য পেশ হলেই এই মামলার শুনানি পর্ব শেষ হয়ে যাবে। এর জন্য আগামী ১৮ ই জুন স্যাটের তরফে সময় দেওয়া হয়েছে। আমাদের আইনজীবীও সেদিনই এই মামলায় আমাদের সওয়াল শেষ করে দেবেন। ফলে, আশা করা যায় স্যাট খুব শীঘ্রই এবার ডিএ মামলার রায়দান করে দেবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!