দীর্ঘ ১৭ মাসের আইনি লড়াইয়ের পর কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানায় যে ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এই ডিএর হার কি হবে বা তা বছরে কতবার করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাওয়া উচিত – এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাটকে নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে প্রথমে স্যাটে মামলা করে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। কিন্তু স্যাট সেই মামলায় জানিয়ে দেয় যে ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে পরে না – ফলে সংগঠনটি তখন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

অন্যদিকে, এই একই বিষয়ে অপর কর্মচারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদ স্যাটে মামলা করলে – স্যাটের তরফে তাঁদের জানানো হয়, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা বিচারাধীন, সেই মামলায় যা রায় হবে তার পরিপ্রেক্ষিতে স্যাট সিদ্ধান্ত নেবে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই স্যাটে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের পাশাপাশি মামলা দায়ের করেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সেই মামলায় রাজ্য সরকার আলাদা করে জবাব দিতে চাওয়ায়, ওই মামলার শুনানি হবে আগামী ২২ শে নভেম্বর। তার আগে, ওই মামলার জন্য আলাদা হলফনামা জমা দেবে রাজ্য সরকার ও তার পাল্টা হলফনামা দেবে সরকারি কর্মচারী পরিষদ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত কনফেডারেশনের মামলায় স্যাটের নির্দেশ অনুযায়ী ২৪ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে কর্মীদের ডিএ দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকার কী বিবেচনা করছে, কত শতাংশ ডিএ বাকি, কবে থেকে দেওয়া হবে, কত হারে দেওয়া হবে সেই সব বিষয় নিয়ে যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল। আজ সোমবার সেই হলফনামা জমা দেওয়া হবে রাজ্যের তরফ থেকে বলে জানা গেছে। আর অন্যদিকে  এই ডি এ মামলা যারা করেছিলেন সেই কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এর পক্ষ থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে তাঁরা ৩ অক্টোবরের মধ্যে এর পাল্টা হলফনামা জমা দেবেন। ফলে এই মামলায় আগামী ৪ ঠা অক্টোবর পরবর্তী শুনানি হবে, ফলে পুজোর আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।