এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে চূড়ান্ত ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার, আগামী সপ্তাহেই বকেয়ার আশা?

ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে চূড়ান্ত ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার, আগামী সপ্তাহেই বকেয়ার আশা?


কিছুদিন আগেই হঠাৎ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন আগামী বছরের ১ লা জানুয়ারী থেকে আরো ১৮% ডিএ ও ১০% ইন্টারিম রিলিফ দেওয়া হবে। বিরোধী মনোভাবাপন্ন সরকারি কর্মীরা সেই সময় দাবি তুলেছিলেন যে শীঘ্রই আদালতে ডিএ মামলার শুনানি আছে, সেই মামলায় নিশ্চিত হার বুঝেই এইভাবে সরকার ঘোষণা করে দিল – কিন্তু তাতেও কর্মীরা ভীষণভাবে বঞ্চিত। সবথেকে বড় কথা যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ও বেতন ২০১৬ এর ১ লা জানুয়ারী থেকে তাঁরা আশা করেছিলেন তা তিন বছর পরেও মিলল না – ঘুরিয়ে একে ‘ছলনা’ বলতেও ছাড়েননি সরকারি কর্মচারী পরিষদ, এইএনটিইউসি, স্টিয়ারিং কমিটির মত বিরোধী মনোভাবাপন্ন কর্মচারী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এমনকি তাঁরা আশা করেছিলেন সরকারের এই ঘোষণার ফলে ডিএ মামলায় প্রভাব পড়তে পারে। তাঁদের প্রত্যাশামত আজ শুনানির শুরুতেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, রাজ্য সরকার ফের ১৮% ডিএ ঘোষণা করেছে, এ ছাড়া ইন্টারিম রিলিফ নিয়ে মোট ২৫% ডিএ ঘোষণা করেছে, ০১৯ এর জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সরকারি কর্মচারী সংগঠন এইএনটিইউসির অন্যতম শীর্ষনেতা সুবীর সাহা এই প্রসঙ্গে প্রিয় বন্ধু বাংলাকে জানান, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের এহেন বক্তব্যের পর কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন আদালতের মাননীয় বিচারপতিরা। তীব্র ভর্ৎসনা করেন তাঁকে। বিচারপতিরা বলেন, মুম্বই বা দিল্লির থেকে কলকাতার জিনিসপত্রের দাম সস্তা বলে এই রাজ্যে কর্মরতরা কম ডিএ পাবেন আর ভিন রাজ্যে কর্মরতরা পরিবার নিয়ে বাইরে থাকেন বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের সমান ডিএ পাবেন, এটা কি কখনও হয়? এই রাজ্যে কর্মরতদেরকে তো সরকার তা হলে বঞ্চিত করছে! সরকার তো আর প্রাইভেট ফার্ম নয়, এক এক জনের জন্য এক এক রকম নিয়ম হবে কেন? সরকারকে সব দিক খতিয়ে দেখে বিবেচনা করতে হবে। ডিএ বা মহার্ঘ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও বৈষম্য রাখা কি উচিত? মোদ্দা কথা আজকের শুনানিতে দুটি জিনিস স্পষ্ট, বিচারপতিরা স্পষ্ট প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্য সরকার অনেক কিছু ঘোষণা করলেও কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে বৈষম্য দূর হয় নি, সে ব্যাপারে নিশ্চিত। দ্বিতীয়ত, ডিএ সরকারের দয়ার দান নয়, তা কর্মচারীদের অধিকার এ কথাও প্রকারন্তরে স্বীকৃত হয়েছে। বিচারপতিরা আজই এই মামলার শুনানি শেষ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কিশোরবাবু আরো একদিন শুনানির সময় আদালতের কাছে চেয়ে নেন, যা প্রথমে বিচারপতিরা দিতে রাজি ছিলেন না। শেষে আগামী ১০ ই জুলাই এই মামলার শেষ শুনানি ধার্য্য হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহেই মহামান্য আদালত সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চনা ঘুচিয়ে মানবিক রায় দেবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!