এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যুব তৃণমূল নেতার “দাদাগিরির” প্রতিবাদে এককাট্টা হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে 12 পঞ্চায়েতের কর্মীরা

যুব তৃণমূল নেতার “দাদাগিরির” প্রতিবাদে এককাট্টা হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে 12 পঞ্চায়েতের কর্মীরা

 

সাধারণ মানুষ বড্ড নিরীহ। ভোটের সময় তাদের কাছে গিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই বুঝিয়ে তাদের ভোট নিতে সক্ষম হন। কিন্তু ভোটের পর সেই তাদেরকেই তাচ্ছিল্য করতে দেখা যায়। তবে কথায় আছে, যারা যত বেশি নিরীহ, তাদের রুদ্রমূর্তি তত কঠিন।

নিরীহ মানুষদের ক্ষেত্রেও তাই। জনবিক্ষোভ যে ঠিক কি আকার ধারণ করতে পারে, তা হয়ত এতদিন বুঝতে পারেনি শাসক দল। তবে এবার সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ, আন্দোলনে তৃণমূল নেতার “দাদাগিরি” কার্যত ব্যাকফুটে চলে গেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজডাঙা অফিসে কাজের বিল চাইতে যান মেহেবুব আলম।

জানা যায়, প্রথমে তিনি অফিসের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট গোপাল মন্ডলের কাছে গেলে গোপালবাবু তাকে প্রধানের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আর এরপরই গোপালবাবুর সঙ্গে বচসায় জড়ালে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সেই মেহেবুব আলম প্রধানের ঘরে গিয়ে প্রধান আবদুল মোতালেবকে ঘুষি মারার পাশাপাশি টেবিল-চেয়ার ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ।

শুধু তাই নয়, নিজের দলবল নিয়ে সেই গোটা অফিসে ভাঙচুর চালাতেও দেখা যায় এই তৃণমূল নেতাকে। আর এরপরই বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এবং তার দলবলকে তারা করলে একজনকে ধরা গেলেও বাকিরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিকে তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরির পরেই গোটা এলাকার সাধারণ মানুষ প্রবলভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। জানা যায়, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মেহবুব আলমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে 12 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যার জেরে এদিন পঞ্চায়েত অফিসে সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের জেরে এদিন প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় মহকুমা শাসক রাজীব কুমার, বিডিও বিমান চন্দ্র দাস এবং মাল থানার ওসি অসীম মজুমদারকে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পক্ষে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক সঞ্জীব সরকার বলেন, “আমরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছি। পঞ্চায়েতের কাজ জমে যাচ্ছে।

এদিন মহাকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আমরা জোরদার আন্দোলনে নামব।” কিন্তু একজন তৃণমূল নেতা হয়ে তার কি এই দাদাগিরি সাজে! কেন তিনি অফিসে গিয়ে এভাবে প্রধান সহ অন্যান্য কর্মচারীদের গায়ে হাত তুললেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই মেহেবুব আলম বলেন, “আমাদের ছেলেরা রাজডাঙ্গা পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে আরটিআই করতে গেলে উল্টে তাদের মারধর করে মিথ্যা মামলা করেছে। আমি কাউকে মারধর করিনি।” সব মিলিয়ে এবার 12 টি পঞ্চায়েতের কর্মীরা এককাট্টা হয়ে তৃণমূল নেতার “দাদাগিরির” বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এখন প্রবল অস্বস্তিতে শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!