এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডায়মন্ডহারবারের প্রচারেই অনেক এগিয়ে “যুবরাজ”, জনসংযোগ ও সংগঠনে বাজিমাতের দাবি বিজেপির

ডায়মন্ডহারবারের প্রচারেই অনেক এগিয়ে “যুবরাজ”, জনসংযোগ ও সংগঠনে বাজিমাতের দাবি বিজেপির


তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেই পরিচিত। গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর ফের 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে শাসকদলের এহেন শীর্ষস্তরের হেভিওয়েট নেতা প্রচারেও ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে হোর্ডিং লাগানো – সমস্ত কিছুকেই মাত করেছে শাসক দল। এদিকে শাসক দলের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে যখন গোটা ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে জোর প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল, ঠিক তখনই এই অঞ্চলে বিরোধীদের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে অনেকটাই ঢিলেমি দেখা গেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

জানা গেছে, এখানে সিপিএমের পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন ডাঃ ফুয়াদ হালিম। অন্যদিকে সদ্য এই ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে দক্ষিন দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা নীলাঞ্জন রায়ের নাম। অন্যদিকে অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে এখানে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে সৌম্য আইচকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে বিরোধীরা যখন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে সরব হচ্ছে, সেখানে এই হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে সমস্ত বিরোধী দল তাদের প্রার্থী দাঁড় করালেও কেন তারা প্রচারে এতটা পিছিয়ে আছে! তাহলে কি আগেভাগেই তারা শাসকদলের কাছে নতিস্বীকার করে নিচ্ছে?

এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা বলেন, “দলেরর সংগঠন, প্রচার ভালো ভাবেই সাজিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোটের সময় এখানে এসে প্রচারে ঝড় তুলে কোনো লাভ হবে না। মানুষ জানে সারা বছর তাদের পাশে কারা থাকে!” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম বলেন, “মুখে উন্নয়নের ফানুস ওড়ালেও বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েরই জনস্বার্থবিরোধী নীতির জন্য আজকে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। মানুষই শেষ কথা বলবে।”

এদিকে প্রচারের ব্যাপারে এদিন কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্য আইচ বলেন, “এখনও অনেকটা সময় রয়েছে। আর কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই থেকে ঘোষণা দিল্লিতেই সমস্ত প্রক্রিয়া হয়। তাই সময় লেগেছে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে সকলকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করলেই মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে।”

তবে বিরোধী দলের প্রার্থীরা যাই বলুন না কেন, প্রচার এবং দলীয় সংগঠনের ভিত মজবুত করা থেকে ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!