এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > দক্ষিণ দিনাজপুরের পর মুর্শিদাবাদ,গোষ্ঠীকোন্দলে তৃণমূল যুবকর্মীদের হাতে আক্রান্ত মূলকর্মীরা

দক্ষিণ দিনাজপুরের পর মুর্শিদাবাদ,গোষ্ঠীকোন্দলে তৃণমূল যুবকর্মীদের হাতে আক্রান্ত মূলকর্মীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি জেলায় জেলায় দেখা দিয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। সম্প্রতি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল দেখা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এবার গোষ্ঠী কোন্দল দেখা গেল মুর্শিদাবাদে। মুশিদাবাদের সালার থানার তালিব পুর অঞ্চলের লেদুরিপাড়ায় দলের তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল দেখা দিল। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর ডাকা দলীয় বৈঠকে চড়াও হতে দেখা যায় এলাকার যুব তৃণমূল কর্মীদের। তৃণমূলের মূল সংগঠনের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়। পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তালিবপুর অঞ্চলের লেদুরিপাড়া এলাকাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য জামিলা বিবি কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠক শুরু হবার পরই বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামী বলে পরিচিত ভরতপুর যুব তৃণমূল সভাপতি আনারুল ইসলামের নির্দেশে এলাকার যুব তৃণমূল সভাপতি হাসু শেখের অনুগামী যুব তৃণমূল কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। যুব তৃণমূল কর্মীরা জানান, এখানে তৃণমূল বলতে শুধু যুব তৃণমূল। বৈঠক মিছিল, সবটাই যুব তৃণমূলের নেতৃত্বে করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর লাঠি, লোহার রড ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে তৃণমূলের মূল সংগঠনের কর্মীদের। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। তৃনমূলের ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য গুরুতর আহত হন। তাদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জামিলা বিবি জানিয়েছেন যে, হুমায়ুন কবীর বিধায়ক হবার পর তাঁর নির্দেশে তাদের বৈঠকে মারধর করেছে তৃণমূলের যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তবে, এ প্রসঙ্গে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন যে, ভোটের সময় যারা দল বিরোধী কাজ করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের কেউ নন। তাই তাদের বৈঠক কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি অভিযোগ করেছেন, জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের নির্দেশে দল বিরোধী কাজ করেও অনেকে দলে আছেন। যা তিনি মেনে নেবেন না। তিনি দাবি করেছেন, বৈঠকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। যুব তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর করার কারণে এটা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান জানিয়েছেন যে, হুমায়ুন কবীরের সব কথার উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করছেন না তিনি। হুমায়ুন কবীর দলনেত্রীর নামে কথা বলেন। তবে যা হয়েছে, তা দলের সংগঠনের পক্ষে ভালো হয়নি।

আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ফকির শেখ জানিয়েছেন যে, তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে যুব তৃণমুলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছেন। তবে, যুব তৃণমূল সভাপতি আনারুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, করোনাবিধি অমান্য করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে কোনো অনুমতি না নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। তাদের কর্মীরা সেখানে বাধা দিয়েছিলেন। সেখানে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কর্মীদেরকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!